উজানে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি কিছুটা কম আসায় গেল ১২ ঘন্টায় কমেছে তিস্তা ও ধরলার পানি। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলা সদরের কাউনিয়া পয়েন্টে তা ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আর ধরলা নদীর পানি সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
নদীর পানি কিছুটা কমলেও দুর্গত এলাকাগুলো থেকে এখনও বানের পানি নেমে যায়নি। তলিয়ে রয়েছে রাস্তাঘাট, ফসলের খেত, নলকুপ ও ল্যাট্রিন। বাড়িঘরে এখনও হাটু ও গলা পর্যন্ত বানের পানি রয়েছে। রান্নার অভাবে বানভাসিদের নির্ভর করতে হচ্ছে শুকনো খাবারের উপর।
সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা কিছুটা দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল হওয়ায় বানভাসিদের ঘরে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট রয়েছে। তিস্তার বুকে দুর্গম চর ও দ্বীপচর থেকে অনেক মানুষ বসতভিটা ছেড়ে বাড়িঘর নিয়ে ছুটছেন নিরাপদ স্থানে। তাদের মাঝে রয়েছে চরম কষ্টের আহাজারি।
গেল বছরগুলোতে বন্যার সময় স্বেচ্ছাসেবক ও ব্যক্তি উদ্যোগে শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হতো বানভাসিদের ঘরে ঘরে। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না বানভাসিদের পাশে। ফলে করোনা মহামারিতে দফায় দফায় বন্যা পরিস্থিতি নদীপাড়ের বানভাসিদের কাছে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।