লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার আগে একটি গোল করে আর আরেকটি করিয়ে ব্রাজিলকে এগিয়ে রেখেছিলেন গাব্রিয়েল জেসুস। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে রিশার্লিশনের গোলে ব্রাজিল পেল দারুণ এক জয়। পেরুকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে স্বাগতিকরা।
রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফাইনালে ৩-১ গোলে জিতেছে তিতের দল। ১২ বছর পর প্রতিযোগিতাটির শিরোপা জিতল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
লাতিন আমেরিকার শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের এটি নবম শিরোপা। ২০০৭ সালে আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দেশটি।
পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। পায়ের কারিকুরিতে দুই জনকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক থেকে গাব্রিয়েল জেসুস ক্রস বাড়ান ডি-বক্সে। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা এভেরতন বল পাঠিয়ে দেন জালে। আসরে গ্রেমিওর এই ফরোয়ার্ডের এটা তৃতীয় গোল।
৪৪তম মিনিটে পাওলো গেররেরোর স্পট কিকে সমতায় ফেরে পেরু। ডি-বক্সে বল চিয়াগো সিলভার হাতে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তিতে যাচাই করেও সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন তিনি। আসরে স্বাগতিকদের জালে এটাই প্রথম গোল।
পেরুর সমতায় ফেরার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ে আর্থারের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জেসুস।
আসরে এটা ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল। সেমি-ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
৭০তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ব্রাজিল। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জেসুস।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি গত দুবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা পেরু। উল্টো নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে হজম করে তৃতীয় গোল।
বাঁ দিক দিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে কয়েকজনকে ফাঁকি দিয়ে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা এভেরতনকে ডিফেন্ডার সামব্রানো ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি। ভিএআর প্রযুক্তিতে যাচাই করেও সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন তিনি। ৭৫তম মিনিটে ফিরমিনোর বদলি নামা রিশার্লিসন স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন।
বাকি সময়ে এই ব্যবধান ধরে রেখে শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে মারাকানা। এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে কোনো শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। সেবার এই মাঠেই স্পেনকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তারা জিতেছিল ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ।
