যুক্তরাজ্য তাদের মিত্রদের নিয়ে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে।
রাশিয়ার গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সিরিজ সাইবার হামলার অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস এই অভিযোগ তুলেছে।
৫ অক্টোবর, শুক্রবার বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সাইবার হামলার পরিকল্পনার জন্য সাতজন রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে ।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ও যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সংস্থা হামলার মুল টার্গেট ছিল।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক সাইবার হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। পশ্চিমাদের ঐক্যবদ্ধ এই অবস্থান রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ এসেছিল। সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল রাশিয়া।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, যুক্তরাজ্য তাদের মিত্রদের নিয়ে রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে।
এ বিষয়ে ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, রাশিয়ার সব কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তারা বলতে চাইছেন যে, রাশিয়াকে এমন কাজ বন্ধ করতে হবে।
অনেকে মনে করছেন, পশ্চিমারা রাশিয়াকে একঘরে করে ফেলতে চাইছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
নেদারল্যান্ডস বলেছে, রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন ওপিসিডব্লিউর বিরুদ্ধে সাইবার হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই সংগঠনটি যুক্তরাজ্যে রাশিয়ার সাবেক গুপ্তচরের ওপর রাসায়নিক হামলার ঘটনার তদন্ত করছে। সে কারণে এই প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার লক্ষ্য হতে পারে।
এই হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে চার রুশ নাগরিককে বহিষ্কার করেছে নেদারল্যান্ডস।
এদিকে যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউর বিরুদ্ধে বড় ধরনের চারটি সাইবার হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, তাদের দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সাইবার হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। এমনকি রাশিয়া ও ইউক্রেনে অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও হামলার লক্ষ্য হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সংস্থা হামলার মূল লক্ষ্য ছিল।
অন্যদিকে কানাডা বলেছে, মন্ট্রিলভিত্তিক ওয়ার্ল্ড এন্টিডোপিং এজেন্সির সিস্টেমে হামলা করে অ্যাথলেটদের তথ্য নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের রুশ হামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ডাচ কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত এপ্রিলে চারজন সন্দেহভাজনের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছিল। সেই ল্যাপটপ ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছিল।
