পহেলা বৈশাখের এক সপ্তাহ পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দফতরে আয়োজিত বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজকীয় পালকি সদৃশ চেয়ারে চড়ে অনুষ্ঠানে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর একটার সময় রঙ্গিন পাঞ্জাবি পরে র্যাবের একটি টিম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পালকি সদৃশ চেয়ারে করে অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিয়ে আসা হয়।
এরপর একই কায়দায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদকেও মঞ্চে নিয়ে আসা হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নীল পাঞ্জাবি পড়া র্যাব সদস্যদের একটি দল তার সামনে সোনার রংয়ের একটি পালকি সদৃশ চেয়ার এনে হাজির করেন। ওই চেয়ারে উঠে বসতে বলা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা ইতস্তত করলেও পরে তাতে উঠে বসেন। পরে র্যাবের সদস্যরা তাকে কাঁধে তুলে শহীদ লে. আবুল কালাম আজাদ মিলনায়তনের মূল মঞ্চে নিয়ে যান।
পরে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাড়তি আনন্দের অংশ হিসেবে এই কাজটি করা হয়েছে।’
এদিন দুপুর ১২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে র্যাব সদর দফতরের বৈশাখের এই উদযাপন। পুলিশ, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষ এই উৎসবে যোগ দেন। অনুষ্ঠানের মাঝে ঝড়বৃষ্টি সামান্য সমস্যা সৃষ্টি করলেও তাতে বৈশাখ উদযাপনের আনন্দে বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি।
নাগরদোলা, সাপ খেলা, বানর নাচ, পুতুল নাচ ও যাদু প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধরনের বৈশাখী মেলার খেলা ছিলো র্যাবের এই আয়োজনে। তাই পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে দর্শনার্থীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এরপাশাপাশি দই, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি, আচারসহ দেশি খাবারের বাহারি আয়োজন ছিলো এই মেলায়। আগত দর্শনার্থীদেরকে আখের রস, বাতাসা, ডাবের পানি, তরমুজসহ দেশীয় ফলের রস দিয়ে বরণ করা হয়।
দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল ভুনা খিচুরির সঙ্গে গরুর মাংস ও আচার, বিরিয়ানির সঙ্গে ইলিশ মাছ ও ডিম ভুনা, সাদা ভাতের সাথে মুরগীর মাংস। এছাড়া প্রায় ২০ প্রকারের ভর্তাও ছিলো এই আয়োজনে।
সমাপনীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান ও নৃত্য দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেয়।
