টপ পোষ্ট

দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে ৪,৬৬,৯০৬টি গাছ লাগিয়েছে যুবলীগ

0

বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ১৯৮৫ সালের ১ আষাঢ় থেকে সমগ্র বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করে আসছেন। তখনও বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আসেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, পরিবেশের কথা চিন্তা করে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি দেশের সবাইকে নির্দেশনা দেন যে-আপনারা অন্তত তিনটা করে গাছ লাগাবেন। একটা করে ফলের গাছ, একটা করে কাঠের গাছ এবং একটা করে ভেষজ গাছ।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২০ জুন হাতিরঝিলের প্লাটিনাম পার্কে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুবলীগ চেয়ারম্যাদন শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল যুবলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ী সকলকে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র এই তিন মাসব্যাপী কমপক্ষে একটি ফলজ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩২ টি বৃক্ষরোপণ করেছে এবং দ্বিতীয় ধাপে জুলাই মাসের ১৬ তারিখ থেকে আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট ৪,৬৬,৯০৬টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। যুবলীগের কোন ইউনিট কি পরিমাণ বৃক্ষরোপণ করছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর শাখা থেকে নিয়মিত মনিটরিং করে তার তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর অন্তর তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ১২,০০০টি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ১১,০০০টি, রাজশাহী জেলা ৪,৫০০টি, বগুড়া জেলা ৬,০০০টি, সিরাজগঞ্জ জেলা ২,৫০০টি, পঞ্চগড় জেলা ৭,০০০টি, পাবনা জেলা ২১,০০০টি, নওগাঁ জেলা ১২,০০০টি, জয়পুরহাট জেলা ১০,৭৬০টি, সাতক্ষীরা জেলা ৬,৫০০টি, বাগেরহাট ৫,০০০টি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ২৪,০০০টি, নড়াইল জেলা ১১,০০০টি, মাগুরা জেলা ১৭,০০০টি, যশোর জেলা ৫,৫০০টি, কুষ্টিয়া ২৬,৯০০টি, মেহেরপুর ৮,০০০টি, লালমনিরহাট জেলা ৫,০০০টি, কুড়িগ্রাম জেলা ৫,৩৫০টি, গাইবান্ধা জেলা ৬,৫৭০টি, নীলফামারী জেলা ৫,০০০টি, দিনাজপুর জেলা ৯,৫০০টি, ঠাঁকুরগাঁও জেলা ১০,০০০টি, রংপুর জেলা ১২,০০০টি, গাজীপুর জেলা ৭,৫৫০টি, গাজীপুর মহানগর ১৫,০০০টি, মানিকগঞ্জ জেলা ৪,৬০০টি, জামালপুর জেলা ৫,৬০০টি, কিশোরগঞ্জ জেলা ২,৫২০টি, টাঙ্গাইল জেলা ১০,০০০টি, নেত্রকোণা জেলা ৮,১৫০টি, শেরপুর জেলা ৩,৭০০টি, গোপালগঞ্জ জেলা ৫০০টি, রাজবাড়ী জেলা ১০,৪৬৬টি, ফরিদপুর জেলা ৫,০০০টি, মুন্সিগঞ্জ জেলা ১,০০০টি, শরীয়তপুর জেলা ৩,০০০টি, খাগড়াছড়ি জেলা ১২,০০০টি, রাঙ্গামাটি জেলা ৬,৫০০টি, বান্দনবান জেলা ৭,৯০০টি, কক্সবাজার জেলা ৯,০০০টি, নোয়াখালী জেলা ৪০,০০০টি, লক্ষ্মীপুর জেলা ১১,০০০টি, কুমিল্লা উত্তর জেলা ৫,২২০টি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ১,৫৭০টি, কুমিল্লা মহানগর ৩০০টি, চাঁদপুর জেলা ৬,৭৫০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ২৩,৮০০টি, ফেনী জেলা ৪,৪০০টি, বরগুনা জেলা ৮০০টি, পটুয়াখালী জেলা ১০,০০০টি, পিরোজপুর ৬,৫০০টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.