টপ পোষ্ট

বঙ্গমাতা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

0

বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসীর আরও একটি স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে।

উদ্বোধন উপলক্ষে নদীর পশ্চিম এবং পূর্বপাড়ে দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। পশ্চিমপাড়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপাড়ে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরের এক জনসভায় কঁচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ৮৯৪ দশমিক ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৪৯৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত করেছে। চীন সরকার এ সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ৫ মাস আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শেষ করে সেতু বিভাগের কাছে ৭ আগস্ট হস্তান্তর করে।

সেতুর পূর্ব প্রান্তে নদীর তীরে ২২০ মিটার দীর্ঘ এবং ৫৫ মিটার চওড়া একটি বিনোদন এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে।

মূল সেতুর স্প্যান সংখ্যা ১৫টি, পিআর সংখ্যা ১৫টি। ফাউন্ডেশনের ধরন হচ্ছে কাস্ট-ইন-সিটু পাইল, পাইলের সর্বোচ্চ গভীরতা ১১৭ মিটার, পাইলের ডায়া দুই মিটার। ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ৪৯৫ মিটার, ভায়াডাক্টের স্পান সংখ্যা ১৫টি, পিআর সংখ্যা ১৫টি, অ্যাবাটমেন্ট সংখ্যা দুইটি। সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৪৬৭ কিলোমিটার। নেভিগেশনে ভ্যার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ১৮ দশমিক ৩০ মিটার, হরিজন্টাল ক্লিয়ারেন্স ১২২ মিটার।

ভূমি অধিগ্রহণ ১৩ দশমিক ৩২ হেক্টর। নদী তীর রক্ষার কাজ ২২০ মিটার। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য কাজ হচ্ছে ১২ মিটার আরসিসি সেতু একটি, সাড়ে চার মিটার বক্স কার্লভাট একটি। প্রকল্প বহির্ভূত জনস্বার্থে কৃত কাজ ২২০ মিটার দীর্ঘ ও ৫৫ মিটার প্রস্থ বিনোদন এলাকা উন্নয়ন। সেতুর দুই প্রান্তে বিটুমিনাস সড়ক রয়েছে।

যে নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়েছে তা ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রোটকাল চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নৌপথ। এ পথ দিয়ে পশ্চিম বাংলা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে ভারতের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করে। এ ছাড়া মোংলা বন্দর ও খুলনা থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্যবাহী বড় বড় নৌযান ও জ্বালানিবাহী অয়েল ট্যাংকার চলাচলেরও নৌপথ এটি।

যে কারণে সেতুটি নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স পানির স্বাভাবিক উচ্চতা থেকে ১৮ মিটার বলে জানিয়েছেন এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার ও সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.