আধুনিক ক্রিকেটের ‘ব্যাটিং মাস্টার’দের তালিকা করতে গেলে কোহলির নামটি অবস্যই রাখতে হবে। শচীন টেন্ডুলকারের পর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং নক্ষত্র তিনিই।
কিন্তু সেই কোহলিই কিনা আড়াই বছর ধরে বাইশগজে বিচরণ করছেন শুধু অতীতের ছায়া হয়ে। সেঞ্চুরি তো দূরের কথা, কোহলির ব্যাটে আজকাল হাফসেঞ্চুরিও যে বিরল দৃশ্য!
স্বাভাবিকভাবেই কোহলিকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা তুঙ্গে। এর মাঝেই তাকে নিয়ে মুখ খুললেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের গতি দানবকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে বায়োপিক। রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেসের জীবনী ফুটে উঠবে বড় পর্দায়।
এমন ঘোষণার পর পাকিস্তানের এই গতিতারকা টুইটারে আধাঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করেন। সেখানে এক ভক্ত শোয়েবকে বলেছিলেন এক শব্দে বিরাট কোহলিকে ব্যাখ্যা করতে। যার জবাবে ‘পিণ্ডি এক্সপ্রেস’ দুই শব্দে লেখেন, ‘লিজেন্ড অলরেডি’! বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- ‘ইতিমধ্যেই কিংবদন্তি’।
এই মুহূর্তে ‘কোহলির ব্যাটে কেন বড় রান নেই’, ‘সমস্যা কোথায়’ -এসবই যেন হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ইস্যু। কেউ বলছেন কোহলিকে বিশ্রাম দেয়া হোক, আবার কেউ বলছেন বাদ দিতে।
কিছুদিন আগে কোহলির সমর্থনে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শোয়েব আখতার। অত্যন্ত ঠোঁটকাটা চরিত্রের এই ক্রিকেটার কোনো কথা বলতে দুইবার ভাবেন না। কোহলিকে নিয়ে বলতে গিয়েও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সাবেক ভারত অধিনায়ককে তিনি কতটা পছন্দ করেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছিলেন, ‘চারপাশে কোহলিকে নিয়ে প্রচুর সমালোচনা কানে আসছে। লোকজন আমাকে বলছে যে, কোহলি শেষ হয়ে গেছে। সে আর কিছু করতে পারবে না। আমি তাদের বলছি, বিগত ১০ বছরে কোহলিই গ্রেটেস্ট। বিগত এক-দুই বছর হতে পারে সে হয়তো ভালো খেলছে না…কিন্তু আমি বুঝতে পারি না, কোহলিকে বসানোর কথা লোকজন ভাবেই বা কী করে! আমি কপিল দেবকে সম্মান করি। তার মতামত তিনি দিয়েছেন। কিন্তু আমি পাকিস্তানি হয়ে কোহলিকে সমর্থন করি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২৩ হাজার ৭২৬ রান করা কোহলির মোট শতকের সংখ্যা ৭০টি। ১০২ টেস্টে ২৭ সেঞ্চুরি ও ২৮ ফিফটিতে ৪৯.৫৩ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৭৪টি।
আর ২৬২ ওয়ানডেতে ৪৩ শতক আর ৬৪ অর্ধশতকে ৫৭.৬৮ গড়ে রান করেছেন ১২ হাজার ৩৪৪টি। অন্যদিকে, ৯৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে শতক হাঁকাতে না পারলেও ৩০ ফিফটিতে ৫০.১২ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৩০৮ রান।
মূলত, এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায়, বিরাট কোহলি ঠিক কত বড় মাপের একজন ব্যাটার।