টপ পোষ্ট

বিশ্বকাপের মাসকটনামা

0

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ মানে কেবল মাঠের খেলা নয়, এর বাইরেও থাকে অনেক কিছু। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত একটা বিষয় মাসকট। মাসকটের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় ১৯৬৬ সালে, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দিয়ে। মাসকট মূলত আয়োজক দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মিশেলে এমন একটা প্রতিকৃতি যা ওই বিশ্বকাপকে প্রতিনিধিত্ব করে।
১৯৬৬ বিশ্বকাপ (ইংল্যান্ড) : এ মাসকটটিকে এখন অবধি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা মাসকট বলে বিবেচনা করা হয়।

ওয়ার্ল্ড কাপ উইলি নামক এ মাসকটটির ডিজাইনার ছিলেন শিশুতোষ বইয়ের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী রেগ হয়।

১৯৭০ বিশ্বকাপ (মেক্সিকো) : ১৯৭০-এর মেক্সিকো বিশ্বকাপের মাসকট ছিল ‘জুনাইতো’। এটা ছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম রঙিন মাসকট।

১৯৭৪ বিশ্বকাপ (পশ্চিম জার্মানি) : ১৯৭৪-এর পশ্চিম জার্মান বিশ্বকাপের মাসকটে ছিল নতুনত্ব। দুইটি বালক পরিহিত ছিল পশ্চিম জার্মানের জার্সি যার একটাতে জার্মান ভাষায় লেখা ছিল ‘বিশ্বকাপ’। অন্যটিতে সাল ’৭৪-এর কথা লেখা ছিল। মাসকটের নাম ‘টিপ অ্যান্ড ট্যাপ’।

১৯৭৮ বিশ্বকাপ (আর্জেন্টিনা) : ১৯৭৮-এর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের মাসকটের নাম ছিল ‘গাউচিতো’।

১৯৮২ বিশ্বকাপ (স্পেন) : স্পেনের প্রচলিত ফল কমলা, এ কমলার গায়ে স্পেন জাতীয় দলের জার্সি পরিহিত মাসকটটি ছিল ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ মাসকট। এর নাম ছিল ‘নারানজিতো’।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ (মেক্সিকো) : ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপের মাসকটটির নাম ছিল ‘পিকে’ যা এসেছিল মেক্সিকোর বিখ্যাত দৈত্যাকৃতির মরিচকে কেন্দ্র করে।

১৯৯০ বিশ্বকাপ (ইতালি) : ইতালিতে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপের মাসকটটি তৈরি হয় কতগুলো লাঠিখ-কে মানুষের অবয়ব দিয়ে। প্রতিটি লাঠিখ- ইতালির পতাকার রঙে রঞ্জিত ছিল। এ মাসকটটির নাম ছিল ‘সিয়াও’।

১৯৯৪ বিশ্বকাপ (যুক্তরাষ্ট্র) : ১৯৯৪-এর আমেরিকা বিশ্বকাপের লোগো ছিল একটি কুকুরের। লাল, সাদা এবং নীল রঙের জার্সি পরিহিত এ মাসকটের জামায় লেখা ছিল ‘ইউএসএ ’৯৪’।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ (ফ্রান্স) : ১৯৯৮-এর ফুটবল বিশ্বকাপের মাসকট ছিল ‘ফুটিক্স’।

২০০২ বিশ্বকাপ (জাপান-কোরিয়া) : কমলা, বেগুনি এবং নীল রঙের ভিন্ন ভিন প্রাণীর আকৃতি নিয়ে তৈরি হয় এ বিশ্বকাপের মাসকট। এটা মোটেও দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

২০০৬ বিশ্বকাপ (জার্মানি) : ‘ষষ্ঠ গোলেও ও পিলে’ নামক জার্মান বিশ্বকাপের এ মাসকট গত পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে ফিফার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে প্রদত্ত ভোটে।

২০১০ বিশ্বকাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা) : দক্ষিণ আফ্রিকার এ বিশ্বকাপের মাসকট ছিল ‘জাকুমি’। ‘জা’ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আর ‘কুমি’ দিয়ে আফ্রিকার অনেক আঞ্চলিক ১০টি ভাষাকে বোঝানো হয়।

২০১৪ বিশ্বকাপ (ব্রাজিল) : ‘আরমাডিলো’ নামের ঐতিহ্যবাহী প্রাণীকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপের মাসকট। এর নাম ‘ফুলেকো দ্য আরমাডিলো’।

২০১৮ বিশ্বকাপ (রাশিয়া) : এবারে রাশিয়া বিশ্বকাপের মাসকট হলো ‘জাভিকাকা’ নামের এক নেকড়ে। রাশিয়ান ভাষায় জাবিভাকা শব্দের অর্থ ‘যে গোল করে’। এ মাসকটটির নকশা করেন একাতেরিনা বোচারোভা নামের এক শিক্ষার্থী।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন