বৃষ্টিতেই ধুয়ে গিয়েছিল ম্যাচের প্রথম তিন দিনের অনেকটাই। যার ফলে শেষ দিনে গিয়েও শেষ হয়নি দুই দলের একটি করে ইনিংস। এমন ম্যাচেও যে ফল বের করে আনা সম্ভব! সেটাই করে দেখালো নিউজিল্যান্ড।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের
পর সোমবার শেষ দিনে কিউইদের চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ে ধসে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং। ফলে রেকর্ড
গড়া জয়ে সিরিজ ড্র করল কেন উইলিয়ামসনের দল। এদিন কলম্বোর পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে
ইনিংস ও ৬৫ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
রোববার চতুর্থ
দিন টম ল্যাথামের সেঞ্চুরির পর শেষ দিনে তিন অঙ্কের স্বাদ পেয়েছেন বিজে ওয়াটলিংও। যাতে
১৮৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন উইলিয়ামসন। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র
১২২ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
যাতে ইনিংস ও
৬৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটাই নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে
বড় ব্যবধানের জয়। এর আগের রেকর্ডটি ছিল ১৯৮৪ সালে কলম্বোতেই। সে ম্যাচে ইনিংস ও ৬১
রানে জয় পায় দলটি।
শেষ দিনের উইকেটে
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন দুই পেসার সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। দুই স্পিনার এজাজ প্যাটেল
ও উইলিয়াম সমারভিল ধরে রাখেন চাপ। ভেঙে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং। ডিকভেলা চেষ্টা করেছেন
লড়াইয়ের। তার সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াই শেষ হয়েছে ৫১ রানে আউট হয়ে।
১৫৪ রানের ইনিংসের
জন্য ম্যাচের সেরা টম ল্যাথাম। প্রথম টেস্টে ৭৭ রানের ইনিংসের পর এই টেস্টের সেঞ্চুরিতে
সিরিজ সেরা ওয়াটলিং।
এদিকে, এই জয়
দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম জয় পেল নিউজিল্যান্ড। সিরিজে একটি
করে জয়ে দুই দলই পেয়েছে সমান ৬০ করে পয়েন্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম
ইনিংস: ২৪৪/১০ ও ২য় ইনিংস: ৭০.২ ওভারে ১২২ (থিরিমান্নে ০, কুসল পেরেরা ০, কুসল মেন্ডিস
২০, ম্যাথিউস ৭, ধনাঞ্জয়া ১, ডিকভেলা ৫১, করুনারত্নে ২১, দিলরুয়ান ০, লাকমল ১৪, এম্বুলদেনিয়া
৫, কুমারা ০*; বোল্ট ১৪.২-৮-১৭-২, সাউদি ১২-৬-১৫-২, এজাজ ১৯-৩-৩১-২, ডি গ্র্যান্ডহোম
৪-১-৮-১, সমারভিল ২১-৬-৪৯-১)।
নিউ জিল্যান্ড
১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৮২/৫) ১১৫ ওভারে ৪৩১/৬ (ডি.) (ওয়াটলিং ১০৫*, ডি গ্র্যান্ডহোম
৮৩, সাউদি ২৪*; দিলরুয়ান ৩৭-৪-১১৪-৩, ধনাঞ্জয়া ৫-১-১০-০, লাকমল ১১-২-৩২-০, কুমারা ২৫-০-১১৫-১,
এম্বুলদেনিয়া ৩৭-৪-১৫৬-২)।
ফল: নিউ জিল্যান্ড
ইনিংস ও ৬৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচ
সিরিজ ১-১ ড্র