গত কয়েকটা ম্যাচে প্রতিপক্ষকে রীতিমত গোলবন্যায়
ভাসিয়েছে, পক্ষান্তরে হজম করেছে মাত্র দুটি গোল। এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ নামে উত্তর কোরিয়ার
এমনই শক্তিশালী ক্লাবের বিরুদ্ধেই অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বাংলাদেশের ক্লাব ঢাকা
আবাহনী।
বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের
নকআউট পর্বের প্রথম লেগে নাটকীয় এ ম্যাচে এপ্রিল-২৫কে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড।
আগামী ২৮ আগস্ট ফিরতি লেগের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কোরিয়ায়।
এদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা আবাহনীর রণকৌশলের
ছকটাই ছিল চমকে দেওয়ার মতো। রক্ষণভাগে পাঁচজন ফুটবলার রেখেছিলেন কোচ জেমি ডে। তবে রক্ষণাত্মক
ছক কষলেও এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে জেমির
শীষ্যরা। যার ফল হিসেবে ৩৩ মিনিটেই লিড নেয় আবাহনী।
কোরিয়ান ক্লাবের জাল কাঁপিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে
দেন তরুণ তুর্কি সোহেল রানা। নাবিব নেওয়াজ জীবনের ব্যাক হিল থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের
বাইরে থেকে দারুণ শটে গোল করেন সোহেল। কিন্তু আবাহনীর গোলের উচ্ছ্বাস উবে যায় মুহূর্তের
মধ্যেই। দুই মিনিট বাদেই এপ্রিল-২৫কে সমতায় ফেরান চো জোং হিয়োক। ৩৭ মিনিটে ফের এগিয়ে
যায় আবাহনী। এবার ওয়ালি ফয়সালের কাছ থেকে বল পেয়ে স্কোর লাইন ২-১ করেন প্রথম গোলের
যোগানদাতা জীবন।
পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে যথারীতি সমতায় ফেরে
সফরকারী ক্লাবটি। ৫৫ মিনিটে রিম চোল মিন কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন আবাহনী গোলরক্ষক
শহীদুল ইসলামকে। ম্যাচটা যে নাটকীয় মুহূর্ত উপহার দিতে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছিল তখনই। আবাহনীকে
তৃতীয়বার লিড এনে দেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। যাতে এক ঘণ্টার মধ্যেই হয়ে
যায় পাঁচ গোল! ভাবা যায়, কি থ্রিল!
যদিও খানিক বাদেই ম্যাচের স্কোর লাইন ৪-২ করে ফেলেন
নাইজেরিয়ান রিক্রুট সানডে। ৭৬ মিনিটে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় এপ্রিল টোয়েন্টি ফোর। আবাহনীকে
একটি গোল ফিরিয়ে দেন পার্ক সং রক। দারুণ এক হেডে গোল করেন তিনি।
এরপরেই সমতায়ও ফিরতে পারতো কোরিয়ান ক্লাবটি। কিন্তু
ভাগ্যবিমুখ করেছে তাদের। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইনজুরি টাইমে তাদের একটি শট আবাহনীর
পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তাতেই কোরিয়ান শীর্ষস্থানীয় লিগের ১৮ বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে
রূপকথার জয় পেয়ে যায় জেমি ডে’র শিষ্যরা।