নীলফামারীর সৈয়দপুরে জিন তাড়ানোর ছলে এক ইমাম
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ইমামকে
গত রোববার রাতে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ।
অভিযোগ ওঠা ইমামের নাম সাকিব আলী (৩০)। সৈয়দপুর
উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের একটি মসজিদের ইমাম তিনি। তার বাড়ি রংপুরের কোতোয়ালি
থানায়।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, অষ্টম শ্রেণির
ছাত্রীর ওপর জিন ভর করেছে জানিয়ে ইমাম সাকিব আলীকে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন
অনুরোধ করে। ইমাম দুই দফায় ওই ছাত্রীকে ঘরে বসিয়ে ঝাড়ফুঁক দেয়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের
ঘরের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য করেন সাকিব। গত রোববার ঘরের মধ্যে বসে ঝাড়ফুঁক দেওয়ার
সময় মেয়েটির চিৎকার করে। বাড়ির লোকজন ঘরের ভেতরে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। এ সময় প্রতিবেশীরা
সাকিবকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার দিন রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায়
ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারের পর সোমবার সাকিবকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে মেয়েটির
মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসনাত
খান বলেন, মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ইমাম সাকিব মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা পুলিশের
কাছে স্বীকার করেছেন।