ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে
২ যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি ছিলেন বলে
জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার ভোরে সদর উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর ৪নং
ওয়ার্ডে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা
হলেন- সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫)
ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)।
ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)
শিখর জানান, বুধবার ভোরে দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের
ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।
এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ওই দুই ব্যক্তি চরসামাইয়া এলাকার ‘স্কুলছাত্রী’ গণধর্ষণ মামলার আসামি। চাঁদরাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে গিয়ে তাদের হাতে গণধর্ষণের
শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে
জানা যায়, সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চরসিফলি গ্রামের এক কৃষক ঈদ উপলক্ষে তার
আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন। ঈদের আগের দিন রোববার সন্ধ্যার
দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর
দুই বোন রাতে প্রতিবেশি দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে
সাজতে যায়।
ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া
আল আমিন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আল আমিনের
স্ত্রী ঘরে ছিল না। এ সুযোগে ওই ছাত্রীকে আল আমিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত-পা ও
মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার
করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।