একটা ছেলে দেখতে সুদর্শন হতে পারে। যৌনক্ষমতার
দিক থেকে সে একটিভও হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, সে বাবা হতে সক্ষম। সে বাবা হতে সক্ষম
হবে কি, হবে না তা নির্ভর করবে তার সিমেনে স্পার্মের কোয়ালিটি ও পরিমাণের উপর। অসতর্কতার
কারণে অনেকের স্পার্মের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, বেশ কয়েকটি কারণে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
নিচে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কারণ উল্লেখ করা হলো-
* সিমেনে স্পার্মের কোয়ালিটি ও পরিমাণের বিষয়টি
কখনো কখনো জেনেটিকভাবে নির্ভর করে। আসলে সব রোগেরই কিছু জেনেটিক ব্যাপার থাকে। কারো
পূর্বপুরুষ যদি সন্তান জন্মদানে অক্ষম থেকে থাকে কিংবা দেরীতে সন্তান হয়ে থাকে তবে
তাঁর মধ্যেও সেই প্রভাব পড়তে পারে।
* কোনো পুরুষ যদি ধূমপায়ী হয়, কিংবা নিয়মিত মদ-মাদক
সেবন করে থাকে এটি তার সিমেনে প্রভাব ফেলবে। এতে করে স্পার্মের কোয়ালিটি কমে যাবে।
* সে ( ছেলে) যদি কোনো গরম আবহাওয়াযুক্ত পরিবেশে কাজ করে, বা
গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় দেয় তাহলেও তার স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
* অনেকে রোজ গরম পানিতে গোসল করে। এ কারণেও অনেক
সময় স্পার্ম কমে যায়।
* কেউ কেউ খুব টাইট অন্তর্বাস পড়ে। এটিও স্পার্মের
কোয়ালিটি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট।
* এছাড়া ছেলেদের ডায়াবেটিস থাকলে, মানসিক চাপ
থাকলে, সে যদি কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে, যে মেডিসিনের সাইড অ্যাফেক্ট হিসেবে স্পার্মের
কোয়ালিটি নষ্ট হয় তাহলে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।