টপ পোষ্ট

বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জাপার নেতার বিরুদ্ধে মামলা

0

বিয়ের কথা বলে
একাধিকবার বিউটি বোডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য
আলমগীর সিকদার লোটনের (৫৩) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক লেখিকা।

ঢাকার এক নম্বর
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে
মামলাটি করেন ওই লেখিকা। আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২৭ জুলাই এ বিষয়
প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের
পেশকার তৌয়ব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১১ জুলাই লেখিকা পরিচয় দিয়ে আলমগীর সিকদার
লোটনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা (৮৪/১৯) করেছেন ওই নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয়
তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে
বাদী বলেন, ‘সিকদার অ্যান্ড পাবলিকেশন’ ও ‘আকাশ পাবলিকেশন’র মালিক আসামি আলমগীর
সিকদার লোটন। অন্যদিকে বাদী একজন লেখিকা হওয়ায় আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। বাদী ‘সংগঠক
ও সংগঠন’
রাজনৈতিক বইটি লিখতে আসামি লোটনের সঙ্গে সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন।

পরবর্তী সময়ে
আসামির প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবি অ্যালবামের
নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জা হিসেবেও বাদী কাজ করেন। সেই সময় ওই কাজের জন্য বাদী আসামির সঙ্গে
দেখা করতেন। তখন আসামি বাদীকে পেলেই বিভিন্ন ইভটিজিংমূলক কথাবার্তা বলতেন।

আসামি বাবার বয়সী
ভেবে বাদী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। এছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ম্যাসেঞ্জারে বাদীর কাছে নোংরা ছবি পাঠাতো এবং ভিডিও কলে নোংরা প্রস্তাব দিতো। বাদী
কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে পারতেন না, কারণ তাকে কাজের জন্য আসামির কাছে যেতে হতো।

চলতি বছরের ১
জানুয়ারি আসামি লোটনের জন্মদিন হওয়ায় তার অনুরোধে তিনি রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন বিউটি
বোডিংয়ে আসেন। সেখানে জন্মদিনের কেক কাটার পর আসামি বাদীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা
বলে গাড়িতে তোলেন। পথে ড্রাইভার ও তার সহযোগীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে
রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে গাড়ি থামিয়ে রাত ৯টার দিকে গাড়িতেই
বাদীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং সে সময় মোবাইল ফোনে কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।

এরপর বাসায় পৌঁছে
দেয়ার সময় হুমকি দেন, বিষয়টি কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেবেন। আসামির
কাছে নোংরা ছবি ও ভিডিও থাকায় সে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে। এরপর বিভিন্ন সময় আসামির
পাবলিকেশন ও বিউটি বোডিংয়ে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ৩০ জুন আসামি বাদীকে
বিয়ে করবে বলে ডেকে এনে বিউটি বোডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে ধর্ষণ করেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন