টপ পোষ্ট

ছাত্রীর ‘স্পর্শকাতর স্থানে হাত’, কারাগারে শিক্ষক

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
আখাউড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক
স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সামসুল আলম পলাশ
(৪৮) নামের এক শিক্ষককে
কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ
বুধবার দুপুরে ওই শিক্ষককে
আদালতে তোলা হলে তাকে
কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি পৌরশহরের দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের
সহকারী ইংরেজি শিক্ষক।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার
দুপুরে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি
ক্লাস নেওয়ার সময় শিক্ষক
পলাশ এক ছাত্রীর শরীরের
স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। ক্লাস
শেষে ওই ছাত্রী কাঁদতে
কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি
তার অভিভাবকদের জানায়। ঘটনা
শুনে প্রধান শিক্ষকের কাছে
মেয়ের অভিভাবক অভিযোগ নিয়ে যান। এরই
মধ্যে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি
হলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবক বিদ্যালয়ে
গিয়ে ওই শিক্ষককে খুঁজতে
থাকেন। ওই
শিক্ষক স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আশ্রয় নিলে উত্তেজিত
জনতা শিক্ষক অফিস ঘেরাও
করে রাখেন এবং তার
শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার
রেইনা ও আখাউড়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যালয়ে যান। পরে
শিক্ষক পলাশকে আটক করে
থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ
সময় দায়িত্বে গাফিলতির জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানকে
লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে
তিনি ইউএনও’র গাড়িতে
গিয়ে ওঠেন। তখন
ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষক পলাশ
ও প্রধান শিক্ষক শেখ
মাহফুজুর রহমানের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে
থাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র জানায়,
ওই শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রীদের
শরীরে হাত দিতেন।
প্রধান শিক্ষককে বলার পরও তিনি
কোনো ব্যবস্থা নেননি।

দেবগ্রামের
বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন,
‘শিক্ষক পলাশ এর আগেও
কয়েকজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে। এসব
কারণে তিনি জেলও খেটেছেন। তিনি
শিক্ষক নামের কলঙ্ক।’

এ বিষয়ে আখাউড়ার ওসি
মো. রসুল আহমেদ নিজামী
বলেন, শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে
ছাত্রীর অভিভাবক মামলা করেছেন।
পরে তাকে আদালতে তোলা
হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন