টপ পোষ্ট

সময়ের কাজ সময়ে করব

0

এখনকার কাজ এখন করার যে সক্ষমতা যে উদ্যম যে অন্তঃপ্রেরণা এটা একজন মানুষের বিশেষ গুণ বিশেষ যোগ্যতা। এবং এই যে আজকের কাজ- আজকে এখনকার কাজ এখন। কাজ শেষ করে তারপরে অন্যকিছু। এই কাজ শেষ করে তারপরে অন্যকিছু – এটাই হচ্ছে সফল মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। কারণ তার এই যে উদ্যম তার এই যে আগ্রহ তার এই স্পিরিট – এটা সবসময় তাকে কর্মসম্পাদনকারীদের মধ্যে অগ্রগামী করে রাখে। আর যে অগ্রগামী হতে পারে কর্মসম্পাদনে সেই আসলে বিজয়ী হয়। কর্মসম্পাদনে অগ্রগামী হতে না পারলে কখনো বিজয়ী হওয়া যায় না। তাকে পিছিয়ে পড়তে হয়।

আজ যা করতে পারতাম আজকে সেটা আমরা করি না ফেলে রাখি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যখন দেখি এখন আর না করলেই নয় তখন করি। কেন করি? আসলে কেন করি এটাও আমাদের কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত যে কেন করি?

কারণটা কিন্তু খুব সিম্পল। কারণটা আমাদের নফস বা আমাদের স্বভাবের মধ্যেই জড়িত আমাদের সিস্টেমের মধ্যেই জড়িত। আমাদের সিস্টেম হচ্ছে বহুকিছুর সম্মিলন সংমিশ্রণ। যে ফেলে রাখি কেন- আজকের কাজটা আজকে করি না কেন? কারণ আমরা বলব যে দীর্ঘসূত্রিতা আলস্য। আচ্ছা করবো নে। আলস্যটা কেন আসে? এটা হচ্ছে আমাদের ব্রেনের দুটো সিস্টেমের মধ্যে লড়াই যুদ্ধ। যুদ্ধ মানে মারামারি ফাটাফাটি না, যুদ্ধ মানে কৌশলের লড়াই। মোটিভেশনাল লড়াই। একটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেম আরেকটা হচ্ছে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স। এই দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব বলা যেতে পারে। দুটো সিস্টেমের মধ্যে একটা বাদানুবাদ, দুটো সিস্টেম পরস্পর পরস্পরকে প্রভাবিত করার একটা প্রচেষ্টা।

লিম্বিক সিস্টেম আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে বিরত রাখে লিম্বিক সিস্টেম এটা হচ্ছে মস্তিষ্কের একটা অংশ। এটাকে আমরা অচেতন অংশ বলতে পারি। যা প্লেজার সেন্টার অর্থাৎ আনন্দ অনুভূতিটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এই প্লেজার সেন্টার এটা হচ্ছে আমাদের অপছন্দনীয় বা বিপজ্জনক কিছু থেকে আমাদের বিরত রাখে। এটা আমাদেরকে আরামে রাখতে চায় সবসময়। মানে আরাম প্রিয়। এ চায় যে তাৎক্ষণিক মুডটা ঠিক হবে এরকম কাজের মধ্যে লিপ্ত রাখতে। এই ক্ষণিকের যে আনন্দ, এই যে আনন্দের মধ্যে মুডটা ভালো করার জন্যে আনন্দ অনুভূতি দেয়ার জন্যে হচ্ছে এই সিস্টেমটা কাজ করে।

প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স হচ্ছে প্ল্যান মাস্টার, সে সবসময় প্ল্যান করে। এখন আর প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স বলতে পারেন যে আপনার প্ল্যান মাস্টার। সে সবসময় প্ল্যান করে। কপালের ভেতরে কাছেই এটার অবস্থান। এখন সিদ্ধান্ত আপনি নিলেন এটা হচ্ছে সচেতন অংশ। নেয়ার পরে সেটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব হচ্ছে এই প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের। প্ল্যান তো হলো এখন এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব হচ্ছে কর্টেক্সের। কিন্তু এই কর্টেক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে না। লিম্বিক সিস্টেম যেরকম অটোমেশনের মতো কাজ সে প্লেজার চায় সবসময়। সে ঝামেলা থেকে অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিপজ্জনক কিছু থেকে আপনাকে সবসময় বিরত রাখতে চায় অটোমেটিক তার প্রচেষ্টা। আপনার কষ্ট হবে থাক। ঘুম থেকে ওঠতে হবে এখন। ওঠতে চাচ্ছে না আচ্ছা থাক না থাক থাক। (হাসি) মানে এটা হচ্ছে লিম্বিক সিস্টেমের কাজ।

ক্রমাগত উইল পাওয়ার প্রয়োগ না করলে লিম্বিক সিস্টেম আপনাকে আলস্যে ডুবিয়ে দেবে এখন প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সের কাজ কিন্তু অটোমেটিক না। সে অটোমেটিক আপনাকে উদ্বুদ্ধ করবে না। সচেতনভাবে যদি আপনি একে সচল না রাখেন অর্থাৎ আপনার ক্রমাগত উইল পাওয়ার ইচ্ছা এটার ওপরে যদি প্রয়োগ না করেন তাহলে লিম্বিক সিস্টেম ঘাঁটি গেড়ে বসে যাবে। আপনাকে ঐ আলস্যের মধ্যে ডুবিয়ে দেবে। এবং যে কাজ করাটা একটু পরিশ্রম আছে একটু আয়েশ আছে এবং প্রয়োজনীয় সেটা না করে তখন ভাবি আচ্ছা থাক করবো নে বিকেলে করব। বিকেল হলে ভাবি বিকেল তো হয়েই গেছে, আজকে তো এখন কাজটা ধরে শেষ করতে পারব না। (হাসি) অ্যা অমুক বন্ধু আসছে তার সাথে একটু গল্প করলে ভালো। আচ্ছা ঠিক আছে, বন্ধু চলে গেলে পরে রাতে কাজ করব। যখন রাত হলো ইস খাওয়ার সময়তো হয়ে গেছে আজকে থাক কালকে ভোর থেকে ওঠে কাজ করব। তো এভাবে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয় এবং দেরি হয়ে যায়।

আজ না কাল করব এমন যারা ভাবেন, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বৃটেনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিরোইস ২০ বছর ধরে দীর্ঘসূত্রিতার ওপর গবেষণা করেছেন, তার গবেষণা রিপোর্ট হচ্ছে যে আজ না কাল করব এমনটা যারা ভাবেন তাদের কাজ যে কেবল পিছিয়ে যায় তা নয়, দীর্ঘসূত্রিতা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং দীর্ঘসূত্রিতা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাদের জীবনে স্ট্রেসটা বেড়ে যায়। অনিদ্রা মাথাব্যথা হজমের সমস্যা সর্দি বা ফ্লু-তে তাদের আক্রান্ত হওয়া আশঙ্কা বেড়ে যায়। শুধু দীর্ঘসূত্রিতা থেকে প্রবলেম কী হচ্ছে? অনিদ্রা মাথাব্যথা হজমের সমস্যা সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এবং তিনি বলেন যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে হাইপার টেনশন ও কার্ডিওভাসকুলার জাতীয় অসুখের কারণ হতে পারে এই দীর্ঘসূত্রিতা এই আলস্য এবং এসব মানুষ ছাত্র জীবনে খারাপ করে পেশা জীবনে তুলনামূলকভাবে কম উপার্জন করে এবং আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভোগে। কারণ তাদের যে আত্মবিশ্বাস এখনকার কাজ এখন সম্পাদন করার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস সময়মতো কাজ শেষ করার মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস এই আত্মবিশ্বাস এরা কখনো পায় না। এবং এরা এই আত্মবিশ্বাস থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। এবং সবসময় তারা আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভোগে।

প্রত্যেক ধর্মে আলস্য দীর্ঘসূত্রিতা পরিত্যাগ করে কাজ সময়মতো করার জন্যে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
এটা তো গেল আপনার বৈজ্ঞানিক তথ্য। ধর্ম কী বলে? আপনি দেখেন ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে আলস্য ও দীর্ঘসূত্রিতা এই দুটোই হচ্ছে তামসিক। তামসিক মানে হচ্ছে অবিদ্যা অজ্ঞতার অন্ধকারের একটা রূপ হচ্ছে এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং আলস্য। তো আসলে এই দীর্ঘসূত্রিতা এবং আলস্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে আল্লাহর রসুল কিন্তু একটা দোয়া করতেন, যে কোনো কর্মসম্পাদনের অক্ষমতা থেকে এবং আলস্য থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অর্থাৎ আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছেন এটা হচ্ছে নবীজীর প্রার্থনা।

বাইবেলে হিতোপদেশে বলা হয়েছে, আরেকটু ঘুম আরেকটু তন্দ্রা বিছানায় আরেকটু গড়াগড়ি দারিদ্র্য ও অভাব দস্যুর মতো দেবে হানা তোমার অন্দরে। অর্থাৎ আপনি হিন্দুধর্ম বলেন বৌদ্ধধর্ম বলেন খ্রিষ্টধর্ম বলেন ইসলাম বলেন। প্রত্যেকটা ধর্ম এই আলস্য থেকে দীর্ঘসূত্রিতাকে পরিত্যাগ করে প্রত্যেকটা কাজ সময়মতো করার জন্যে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

ধ্যান জপের একটা নিয়মিত সময় রাখা খুব দরকার কারণ কখন যে ক্ষণ বয় বলা যায় না
এবং আলস্য সম্পর্কে মা সারদা দেবী রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সাথে যার নাম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত- মা সারদা দেবী খুব চমৎকারভাবে বলেছেন খুব সুন্দরভাবে, যে জপ ধ্যান সবসময় আলস্য ত্যাগ করে করতে হবে। দক্ষিণেশ্বরের রাত তিনটায় ওঠতাম। একদিন শরীরটা খারাপ লাগায় একটু দেরিতে ওঠেছি। পরদিন আরো দেরিতে ওঠলাম। ক্রমে দেখি আর সকালে ওঠতেই ইচ্ছা হচ্ছে না। তখন মনে হলো ওরে এইতো আলস্য পেয়েছে। তারপর জোর করে ওঠতে লাগলুম। এবার সব পূর্বের মতো হতে লাগল। সাধনার বিষয়ে রোজ জোর করে অভ্যাস রাখতে হয়। ধ্যান জপের একটা নিয়মিত সময় রাখা খুব দরকার। কারণ কখন যে ক্ষণ বয় বলা যায় না। ও হঠাৎ এসে উপস্থিত হয় টের পাওয়া যায় না। সেজন্যে যত গোলমাল হোক নিয়ম রাখা খুব দরকার। এটা হচ্ছে মা সারদা দেবীর অভিজ্ঞতা।

প্রত্যেকটা নামাজের সময় ভাগ করে দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ এখনকার কাজ এখন করতে হবে
এবং ইসলাম সময়কে যে কী গুরুত্ব দিয়েছে- সময়মতো কাজকে যে কী গুরুত্ব দিয়েছে। সূরা আর রাহমানের একটি আয়াত হচ্ছে কুল্লো ইয়াওমিন হুয়া ফিস্শান। ফাবি আইয়্যে আলায়ে রাব্বি ক্যুমা তুকাজ্জিবান। আল্লাহ বলেন যে সময়ের প্রতিটি মুহূর্তে আমার মহিমা নব নবরূপে দীপ্যমান। তোমরা আমার কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? যে কারণে ইসলামি ইবাদতের সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। যে ফজরের নামাজ কখন পড়তে হবে, তখন ফজরের নামাজ আদায় হবে। ফজরের বরকত পাবেন। ওরপরে যখন পড়বেন কাজা আদায় হবে, এটা কিন্তু কাজা হয়ে যাচ্ছে বাসি। তাজার যে মানে (হাসি) স্বাদ ফজিলত, এই স্বাদ এবং ফজিলত আপনি পাবেন না। যোহরের নামাজ যোহর আসরের নামাজ আসর প্রত্যেকটা নামাজের সময় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আজকের কাজ আজকেই করতে হবে এখনকার কাজ এখন করতে হবে।

যদি আগামীকাল তোমার জীবনে না আসে তাহলে তুমি তোমার সুযোগটা হারিয়ে ফেললে।
প্রখ্যাত তাবেঈ সুফি হাসান বসরী খুব খুব চমৎকারভাবে বলেছেন যে, হে আদম সন্তান তুমি দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। আজ তুমি যা আছ, কালকে তুমি তা নাও থাকতে পারো। যদি আগামীকাল তোমার জীবনে আসে সেটা না আসে তাহলে তুমি তোমার সুযোগটা হারিয়ে ফেললে। অতএব আজকের কাজ কখনো আগামীকালের জন্যে ফেলে রাখবে না।

মনোযোগ দিয়ে যে কাজই আপনি করবেন আনন্দ পাবেন এবং মেডিটেশন এই মনোযোগটা নিয়ে আসে।

এখন এই দীর্ঘসূত্রিতা কাটিয়ে ওঠার জন্যে কী করতে হবে? দীর্ঘসূত্রি আপনি যাতে না হন কী করতে হবে? এটার জন্যে মেডিটেশন করতে হবে।

মেডিটেশন বা আত্মনিমগ্নতা এই দুষ্টচক্রটাকে ভেঙে ফেলে। প্রত্যেকটা কাজে আনন্দ খুঁজে বের করে সে। একটা মনোটোনাস কাজেও সে আনন্দ খুঁজে বের করে। আমাদের বিখ্যাত গল্প আমরা বলেছি যে, শিষ্য এসে বলল গুরুকে জিজ্ঞেস করল যে প্রতিদিনের এই খাওয়া এই গোসল করা এই করা আ হয় না। এ থেকে মুক্তি চাই। গুরু বললেন যে খাও গোসল করো (হাসি) এবং দৈনন্দিন কাজ করো। ইটস টুক ইয়ার্স, যুগ লেগে গেল যে মনোযোগ দিয়ে খেতে হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খেলে যে কাজই আপনি করবেন আনন্দ পাবেন এবং মেডিটেশন এই মনোযোগটা নিয়ে আসে। যেরকম প্রত্যেকদিন সকালবেলা রুটি ভাজি খেতে আমার কোনো বিরক্তি নাই। আমার আনন্দ আছে যে আজকের রুটিটা গতকালের চেয়ে আলাদা। গতকালেরটা এরকম এই এই জায়গায় পুড়ে ছিল আজকেরটা এই এই জায়গায় পুড়েছে। আজকের পোড়া দাগ অন্য জায়গায়। (হাসি) এবং এই পোড়া দাগের মধ্যে যদি আপনি একটা শিল্পকর্ম খুঁজে বেড়ান, যে আগুনও এভাবে এত সমজদার, আজকে এদিকটা এভাবে পুড়িয়েছে, দেখতে কীরকম লাগছে। কী চমৎকার!

অর্থাৎ যখন আপনি কোনোকিছুর প্রতি মনোযোগ দেবেন সেটার অনেক ইনফরমেশন অনেক তথ্য অনেক দৃষ্টি অনেক ভেতরে আপনি ঢুকতে পারবেন সেটা আপনার মনের মধ্যে আনন্দ সৃষ্টি করবে। আপনি যখন একটা ভালো খাবার খাচ্ছেন আপনার মন কি অন্যদিকে থাকে?

ধ্যান সবসময় কাজ করার পজিটিভ রেজাল্টটা আপনার অবচেতনে পাঠিয়ে দেয়। আসলে যখন আপনি আপনার রিএকশন আপনার ইমোশন এবং ফিজিক্যাল সেন্সেশন এগুলোর দিকে তাকাবেন এটাই আমাদের আমাদের একঘেয়েমিটাকে কাটিয়ে দেয় এবং মনোযোগ বাড়ায়, কৌতূহল সৃষ্টি করে। এবং এই যে কৌতূহল, এই কৌতূহলটা উদ্যম সৃষ্টি করে। এবং যখন এই কৌতূহল উদ্যম সৃষ্টি করে তখন আসলে আর দীর্ঘসূত্রিতা বলে কিছু থাকে না। তখন আপনি কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হবেন কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এবং ধ্যান সবসময় এই কাজ করার যে পজিটিভ রেজাল্ট, এই রেজাল্টটা আপনার অবচেতনে পাঠিয়ে দেয়। যখনই আপনি মনোযোগ দিলেন কাজটা সম্পন্ন হলে যে রেজাল্ট হতো যে আনন্দ আপনি পেতেন এই আনন্দটা এডভান্স আপনার মনের মধ্যে পাঠিয়ে দেয় এবং তখন আপনি আজকের কাজ আজকে করার যে সক্ষমতা এই সক্ষমতা অর্জন করেন। আজকের কাজ আজকে করার যে অনুপ্রেরণা এই অনুপ্রেরণা আপনি লাভ করেন। এবং যখন আজকের কাজ আজকে করবেন প্রতিটি মুহূর্তের যেহেতু নিজস্ব গুণ রয়েছে নিজস্ব মহিমা রয়েছে সেই মুহূর্তের মহিমায় আপনি মহিমান্বিত হবেন।

সৌভাগ্য খুব আস্তে করে টোকা দেয়, আপনি এই টোকাটাকে বুঝতে পারবেন যখন আজকের কাজ আজকে করবেন। কারণ সৌভাগ্য কিন্তু খুব আস্তে করে টোকা দেয়। আপনি এই টোকাটাকে বুঝতে পারবেন যখন আপনি আজকের কাজ আপনি করবেন। এজন্যে আমাদের সবসময় মটো হওয়া উচিত আজ যা করা যায় আজ সেটা করব। কারণ আমার জীবনে আগামীকাল আসবে কিনা আমি জানি না। এবং আজকের কাজ আপনি আজকে করবেন, এই সক্ষমতা যখন আপনার সৃষ্টি হবে আপনি সবকিছু ডান করতে পারবেন সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এবং এই সব কাজ সম্পন্ন করতে পারার যে আনন্দ, এই আনন্দ একবার যখন আপনি পাবেন তখন প্রতিদিন প্রতিদিনের কাজ শেষ করার আনন্দে আপনি ডুবে যাবেন। আপনার জীবনে কোনো দীর্ঘসূত্রিতা থাকবে না।

তো এজন্যে নিয়মিত মেডিটেশন এবং মেডিটেশনে সবসময় অটোসাজেশন দেবেন যে এখনকার কাজ এখন যা করতে পারি তা এখনই করব, আজ যা করতে পারি তা আজ করব। যেটা আজকে করা সম্ভব সেটা কখনো আগামীকালের জন্যে রেখে দেবো না।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.