টপ পোষ্ট

গাজীপুরে অপহরণের পর কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ!

0

নারী নির্যাতন যেন থামার নয়! এবার গাজীপুরে এক কিশোরীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে গাজীরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী কান্নারত অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কালার মাস্টারবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানার কাজ করতেন তিনি। সেই কাজের সূত্রেই এক বান্ধবীর মাধ্যমে মো.শামীম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকেই শামীম বিভিন্ন সময়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। মেয়েটি এই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক পর্যায়ে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিতে থাকে শামীম।

মেয়েটি আরও জানায়, শামীমের ভয়ে এক পর্যায়ে সে ভালুকা থেকে চাকরি ছেড়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় খালার বাড়ি চলে আসে।কিন্তু এরপরেও শামীম তার পিছু ছাড়েনি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মোবাইল নম্বর জোগার করে নানাভাবে মেয়েটিকে উত্যক্ত করে যেত। গত শনিবার বিকালে মেয়েটির তার খালার বাসা থেকে বের হলে শামীমসহ আরও ৪/৫জন তাকে জোর করে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে প্রথমে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় নিয়ে যায়। এরপর রবিবার রাতে তারা মেয়েটিকে নিয়ে শ্রীপুরের ওয়াদ্দারদিঘী এলাকায় আসে। সেখানে মেয়েটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে শামীম ও তার সহযোগীরা তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। মেয়েটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তাই ধর্ষণের পরে তার মুখে কাগজ গুজে ও হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হত।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায় শামীম। পরে তাকে বস্তা থেকে বের করে ওই বাড়ির একটি ঘরের আটকে রাখে। ওইদিন বিকালেই সুযোগ পেয়ে কৌশলে বাড়িটি থেকে পালিয়ে আসে সেই কিশোরী। স্থানীয়দের ঘটনা জানালে তারা থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় মেয়েটির মামা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন