টপ পোষ্ট

বিনা অনুমতিতে গাছ কাটলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক

0

বিনা অনুমতিতে গাছ কাটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে “লেটস সেভ দ্য প্লানেট’’ শিরোনামে প্রাণ-আরএফএলের উদ্যোগে দেশজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘গাছের বিষয়ে আমার অবস্থান স্পষ্ট। আমি বারবার বলেছি গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সড়কের বিদ্যমান গাছগুলো না কেটেই উন্নয়ন কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। আমি জানতে পেরেছি মিরপুরে টেকনিক্যাল ক্রসিংয়ে সড়ক বিভাজক নির্মাণকালে ঠিকাদার কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছে। যেহেতু ঠিকাদার সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অমান্য করে গাছ কেটেছে তাই তাকে ডিএনসিসিতে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দু’জন প্রকৌশলীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ সব ঠিকাদার ও বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য একটি কঠোর বার্তা। গাছ কেটে কোনো উন্নয়ন নয়।’KSRM

তিনি বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা গাছ কর্তন করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনকে জানাতে হবে। আমরা পরিবেশবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলাপ করে সম্ভব হলে অনুমোদন দেব। অনুমোদন ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কোনো গাছ কাটা যাবে না।’

প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক বোতলে পণ্য বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে এটা হতে পারে না। প্রাণ আরএফএল মতো দায়িত্ব নিয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় উৎপাদনকারীদের প্লাস্টিক বর্জ্য রিডিউস, রিসাইকেল, রিইউজ করা পাশাপাশি ইপিআর (এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার্স রেসপনসিবিলিটি) মডেল চালু করতে হবে। সার্কুলার ইকোনমি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরাই পরিবেশের ক্ষতির জন্য দায়ী। পরিবেশের ক্ষতি করায় এখন পরিবেশ তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি হয় না। দেশজুড়ে তীব্র গরম। বিশেষ করে ঢাকা শহর হিট আইল্যান্ডে পরিণত হয়েছে। হিট হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার। ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।’

নগরবাসীকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভাব্য সকল জায়গায় গাছ লাগাতে হবে। অনেকে বলতে পারেন ঢাকা শহরে গাছ লাগানোর জায়গা নেই। আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে খালের পাড়ে, সড়ক বিভাজকে ও ফুটপাতে বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম শুরু করেছি। ক্লিনিং ও গ্রিনিংয়ের পাশাপাশি আমি ফিডিংয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। খালের পাড়ে ফলের গাছ লাগানো হবে যেন মানুষ খেতে পারে। হর্টিকালচার ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের থেকে রাস্তার মিডিয়ান ও ফুটপাতের জন্য গাছের তালিকা নিয়েছি। ফুটপাতে যেন পাখিরা বসতে পারে সেই ধরনের গাছ লাগানো হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা, আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএন পাল, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ও টেল প্লাস্টিকসের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান প্রমুখ।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.