টপ পোষ্ট

ইলিশের মণ দেড় লাখ

0

পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে রুপালি ইলিশের দাম বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ৩ হাজার ৫শ’ থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা। আগে একই ইলিশ প্রতি মণ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন প্রতি মণ ইলিশের দাম বেড়ে হয়েছে দেড় লাখ টাকা।

কখনো কখনো আবার এর চেয়ে বেশি দরেও বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকায় এসব ইলিশ বিক্রি হয় গোপনে এবং টাস্কফোর্সের সদস্যদের অগোচরে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার জেলে পাড়া রনাগোয়াল, বহরিয়া, হরিণা ফেরিঘাট, আনন্দ বাজার, শহরের সবচেয়ে বড় মৎস্য আড়ৎ বড় স্টেশন মাছঘাটে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পহেলা বৈশাখে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইলিশের চাহিদা থাকে। মাছ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগে থেকেই কিছু ব্যবসায়ী ইলিশ ফ্রিজিং করে রাখেন। আবার অনেকে সম্প্রতি ধরা ইলিশ বরফ দিয়ে লুকিয়ে রাখেন। অতি মুনাফার জন্য এ সময়টাকে তারা কাজে লাগান।

ইলিশের ফাঁকা আড়তনাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মৎস্য ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞার আগেই জেলেদের কাছ থেকে ১ কেজি কিংবা আরো বেশি ওজনের ইলিশ সংরক্ষণ করেছেন কিছু ব্যবসায়ী। ওইসব ইলিশের দাম কম। প্রতি কেজি ১৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা বিক্রি হয়। আর সম্প্রতি আহরণ করা ইলিশের দাম দ্বিগুণ।

মাছঘাটের আরেক ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশের কদর এখনো কমেনি। পাবলিকের চাহিদার কারণে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইলিশ বিক্রি করছেন। এর কারণ হচ্ছে চাঁদপুরের রুপালি ইলিশের স্বাদই আলাদা এবং চাহিদাও বেশি।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল খালেক মাল বাংলানিউজকে বলেন, মাছঘাটে প্রকাশ্যে কেউ ইলিশ বিক্রি করেন না। এখন শুধু দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত শরীয়তপুর থেকে আসা রুই, কাতল, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হয়। কেউ গোপনে ইলিশ বিক্রি করতে পারেন। তবে সেটা আমার জানা নেই। মাছঘাটের প্রায় ৫১টি আড়তের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক বেকার সময় পার করছেন।

রূপালী ইলিশচাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বাংলানিউজকে বলেন, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার মাছের অভয়াশ্রম। এ সময় সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুত নিষিদ্ধ। আমরা ২৪ ঘণ্টা নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে এর মধ্যে গোপনে কেউ ইলিশ বিক্রি করতে পারে। বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় না। তবে উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলেরা কিছুটা হলেও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জেলে ইলিশ আহরণ করতে গিয়ে আটকও হয়েছেন। বুধবার (১১ এপ্রিল) সকালেও মেঘনা নদী থেকে ৯ জেলেকে জাটকা নিধনের অপরাধে আটক করেছে টাস্কফোর্স।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন