টপ পোষ্ট

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী

0

ফাইল ছবি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিসিএমএস) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএসএম সফিকুজ্জামান, ই- ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সারসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত এগোচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট যখন আসে, তখন অনেকেই বলেন এটি হবে না। এখন মানুষ প্রত্যন্ত গ্রামে বসে তার জমিতে কতটুকু সার লাগবে তা জানতে পারে এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে। সত্যিকার অর্থে দেশ বদলে গেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব খাত অনেক এগিয়ে গেছে। তাকিয়ে থাকার মতো উন্নয়ন হয়েছে।

তিনি বলেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় এই কাজগুলো করে দিয়েছে বলে আজ আমরা একটা বড় মাঠ পেয়েছি। এর পেছনে যে পরিশ্রম আইসিটি মন্ত্রণালয় করেছে, তা প্রশংসার।

মন্ত্রী বলেন, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) সময়োপযোগী হয়েছে। অনেক ঝামেলা গেছে। অনেক অভিযোগ, ফোন, অফিসারদের সঙ্গে মিটিং, রাতে ঘুমাতে পারিনি। এগুলো খুব খারাপ অবস্থা। আর ভালো দিক হচ্ছে, এই খাত হঠাৎ করে অনেক এগিয়ে গেছে।

টিপু মুনশি বলেন, আমরা গ্লোবাল (বৈশ্বিক) প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই। বেশ তাড়াতাড়ি ধরে ফেলেছি সব। আজ তাই সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) খুব দরকার। কারণ মানুষ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যাতে না ঠকে, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা যেন এ খাতে উদ্ভূত সমস্যা সহজেই সমাধান করতে পারি, সেজন্য এই সিস্টেম দরকার। এটি হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খুব উপকার হয়েছে। কিছুটা হলেও আমরা স্বস্তিতে থাকতে পারব যে, মানুষের যাওয়ার একটি জায়গা আছে, যেখানে তারা সমস্যার সমাধানও পেয়ে যাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিসিএমএস) মূল ইউজার (ব্যবহারকারী) হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিটি প্রয়োজন থেকে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার ও উদ্ভাবন হয়। দেশে ডিজিটাল সেন্টার উদ্ভাবনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তখন সরকারের সব সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর করোনার মধ্যে সুরক্ষা সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, যা পৃথিবীতে একটি সফল সফটওয়্যার।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ই-কমার্স নিয়ে যখন সমস্যা দেখা গেল, তখন সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় বেসিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাবসহ সবার সহযোগিতায় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা করি। তখন ডিজিটাল কর্মাসের সাইজ ছোট ছিলো বর্তমানে ২২ হাজার কোটি টাকা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল হাটে ৩ লাখ ৮৬ হাজার পশু ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। পাশাপাশি ৮ থেকে ১০টি অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলোও সমাধান হয়েছে। সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস) একটি চমৎকার সিস্টেম। আমরা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকব না। আমরা এ বছরের অক্টোবরের মধ্যে লজিস্টিক ট্র্যাকিং সিস্টেম দিতে পারব।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.