টপ পোষ্ট

ফ্রান্সকে হারিয়েও জিতল না তিউনিসিয়া!

0

শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অপর ম্যাচের ফলের দিকে। সেই ম্যাচ ড্র হলেই কেবল সুযোগ থাকবে শেষ ষোলোয় যাওয়ার। এমন সমীকরণ নিয়ে নিজেদের কাজটা ঠিকমত করলেও ভাগ্য পক্ষে আসেনি তিউনিসিয়ার। তাইতো ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়েও বিদায় নিতে হলো আরবের এই দলকে।

ম্যাচের ৫৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে নিজেদের স্বপ্নটাকে উজ্জ্বল করে তোলেন ওয়াহবি খাজরি। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি! বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেও বিদায় নিতে হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ থেকে। কেননা অপর ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে রেখেছিল ফ্রান্স। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে তাই বেঞ্চের ফুটবলারদের পরখ করে দেখার সুযোগটা লুফে নেন কোচ দিদিয়ের দেশম। এদিন ৯টি পরিবর্তন এনে একাদশ সাজান তিনি। বদলাননি শুধু রাফায়েল ভারান ও অরেলিয়ে শুয়েমেনিকে। তবে বেঞ্চের ফুটবলারদের নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হয়তো হতে পারেননি কোচ। ম্যাচের ফলাফলই তা জানান দিচ্ছে।

রেফারি বাঁশি বাজানোর শুরু থেকেই ফ্রান্সকে চাপে রাখে তিউনিসিয়া। খেলার ৮ মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিল দলটি। খাজরির ফ্রি-কিক থেকে পায়ের দারুণ ব্যবহার করে লিড এনে দেন গান্দ্রি। কিন্তু গোল উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গেই দেখতে পান অফসাইডের সংকেত।

৩৫ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের বক্সে বিপদ তৈরি করে তিউনিসিয়া। তবে ৩৫ গজ দূর থেকে খাজরির শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক মান্দানা। এরপরও বাকিটা সময় আক্রমণে দেখা যায় কেবল তিউনিসিয়াকেই। বিরতির পরও নিজেদের খেলা ধরে রাখে তারা।

৫৮ মিনিটে পালটা আক্রমণ থেকে খাজরির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান লাইদুনি। দারুণ দক্ষতায় বলটি জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি খাজরি। তবে তিউনিসিয়ার গোল দেখেই যেন আল জানুব স্টেডিয়ামে জেগে উঠে অস্ট্রেলিয়া। ডেনমার্কের জালে বল ফেলে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিউনিসিয়ার স্বপ্নকে চূর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয় তারা।

এদিকে, গোল খাওয়ার পরেই কিছুটা নড়েচড়ে বসে ফ্রান্সও। তিউনিশিয়ার কাছে হারতে হবে- সেটা যেন মেনে নিতে পারছিলেন না দেশম। তাইতো এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, ডেম্বেলেদের নামিয়ে দেন কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়টায় তাই ছিল শুধু ফ্রান্সের আক্রমণ। একের পর এক গোলমুখী শট। তিউনিশিয়ার পুরো দল নেমে যায় রক্ষণে। বার বার গোল করার কাছে গিয়েও গোল করতে পারেনি ফ্রান্স।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটক জমে ওঠে। ফ্রি-কিক থেকে ফিরতি বলে গোল করে সমতা ফেরান আনতোয়ান গ্রিজম্যান। উৎসবে মাতেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। কিন্তু পরে ভিএআর প্রযুক্তিতে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন গ্রিজম্যান। যে কারণে বাতিল হয় তার গোল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেই মাঠ ছাড়ে তিউনিশিয়া। সঙ্গে ছাড়তে হয় কাতার বিশ্বকাপও।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.