টপ পোষ্ট

গণসংবর্ধনা পেলেন সাফজয়ী সোহাগী ও স্বপ্না

0

এবারের সাফ গেমস নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ানশিপে বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে সোহাগী কিসকু ও স্বপ্না রানীকে গণসবর্ধনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা প্রদান করেছে জেলাবাসী।

শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এসময় বিভিন্ন স্তরের সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী ফুলের ডালী, ক্রেস্ট, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ করে দু’জনকে দুইলাখ টাকাসহ উপহার সামগ্রী তুলে দিয়ে সংবর্ধনা দেন।

পরে একে একে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুটবল ফেডারেশনসহ বিভিন্ন স্তরের সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকেও ওই দুই নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এসময় উষ্ণ অভ্যর্থনা ও গণমানুষের এমন ভালবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে স্বপ্না ও সোহাগী বলেন, “এমন একটি দিন জীবনে আসবে আমরা কখনো কল্পনা করতে পারিনি। এত বেশি ভালবাসা পাচ্ছি তা বলে প্রকাশ করার মত নয়। আমরা দেশবাসী এবং নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

তারা আরও বলেন, “বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের শ্রদ্ধেয় তাজুল স্যারের প্রতি। যিনি আমাদের ফুটবল খেলতে সাহায্য করেছেন। তিনি এমন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে হয়তো আজ এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। আশা করছি, একদিন বিশ্বকাপ খেলব আমরা।”

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেন, “নারী ফুটবল দল চমক দেখিয়েছে। তাদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুইজন সদস্য রয়েছে। আমরা তাদের জন্য গর্বিত। তারা আরও যাতে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সরকারের পক্ষে তাদের সব সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে “

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, “ঠাকুরগাঁও জেলার মেয়েরা দুর্দান্ত ফুটবল খেলে। তাদের খেলা আমি দেখেছি। তাদের খেলাধূলা যাতে কোন কারণে থেমে না যায় সেজন্য জেলা প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে। এই নারী ফুটবলারদের বাড়িঘরের অবস্থা ভালো না থাকায় খুব শীঘ্রই তাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে “

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে ওই দুই নারী ফুটবলারকে নিজ বাড়ি থেকে ঢাক ঢোলের বাজনার তালে উন্মুক্ত গাড়ির বহরে করে নিয়ে আসা হয় এবং শহরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়।

এসময় রাস্তার দুইপাশে চলাচলকারী লোকজন হাততালি দিয়ে তাদের অভিবাদন জানান।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.