টপ পোষ্ট

দারুণ প্রতিশোধে সুপার ফোর শুরু শ্রীলঙ্কার

0

রহমানউল্লাহ গুরবাজের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসে চড়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। তবে ব্যাটারদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় গ্রুপ পর্বে হারানোর দারুণ প্রতিশোধ নিল শ্রীলঙ্কা। নবি বাহিনীকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব শুরু করল শানাকার দল।

শারজাহ স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৫ রানের স্কোর দাঁড় করে আফগানিস্তান। জবাবে পাঁচ বল হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়, সমান ৬ উইকেট হারিয়েই।

বাংলাদেশের বিপক্ষে যেমন কুশল মেন্ডিসসহ অন্যান্য ব্যাটারদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অনবদ্য জয় তুলে নিয়েছিল। এদিনও ঠিক তেমনটাই করে দেখাল লঙ্কানরা এবং দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ল।

দলের পক্ষে এদিন সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে আগে ম্যাচের নায়ক সেই কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকেই। তার মাত্র ১৯ বলের এই ঝড়ো ইনিংসে ছিল দুটি চার ও তিনটি ছয়ের মার।

এছাড়া আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ২৮ বলে ৩৫, গুনাথিলাকা ২০ বলে ৩৩, শানাকা ৯ বলে ১০, ভানুকা মাত্র ১৪ বলে ৩১ এবং হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস খেলে জয় তুলে নেন।

আফগানদের পক্ষে মুজিব উর রহমান ও নাভিন উল হক ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া রশিদ খান ৩৯ রান দিয়ে ১টি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হন আফগান দুই ওপেনার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে মহেশ থিকশানার পঞ্চম বলে মারা গুরবাজের শট যায় লংঅনে। দৌড়ে এসে ক্যাচ নেন গুনাথিলাকা।

আম্পায়ারের সফট সিগনাল আউট পেয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন গুরবাজ, তবে বাউন্ডারি লাইন ক্রস না করে আবেদন জানান পুন:রায় দেখার জন্য। পরে রিভিউতে দেখা যায়, ক্যাচ নেয়ার পর গুনাথিলাকার পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে।

জীবন পেয়ে ফিরে আসা গুরবাজ এরপর রীতিমত ঝড় তুলেছেন লঙ্কান বোলারদের ওপর। মাত্র ২২ বলে পূর্ণ করেন দেশের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। এর আগে ২০১৬ সালে আরব আমিরাতের বিপক্ষে নাজিবুল্লাহ জাদরান ফিফটি হাঁকান ২২ বলে।

ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই মাত্র ১৩ রান করে ফিরলেও গুরবাজ খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংস। ৪৫ বলের এই ঝোড়ো ইনিংস খেলার পথে আফগান ডানহাতি ওপেনার হাঁকান ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা।

আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হয়ে ফেরার পর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ইব্রাহীম জাদরান। তবে ৩৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে তিনিও ফেরেন দলীয় ১৫১ রানের মাথায়।

এরপর মোহাম্মদ নবি এসে ৪ বলে মাত্র ১ রান করে এবং পরক্ষণেই নজিবুল্লাহ জাদরান রানআউট হয়ে ফিরলেও রশিদ খানের ক্যামিওতে ঠিকই বড় লক্ষ্য পায় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭৫ রান। নজিবুল্লাহ ১০ বলে ১৭ রান আর রশিদ খান ৭ বলে ৯ রান করে রান আউট হন।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে দিলশান মধুশঙ্কা ২টি এবং ফার্নান্ডো ও থিকসানা ১টি করে উইকেট নেন। ৩টি হয় রান আউট।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.