টপ পোষ্ট

প্রথমবারের মতো চিত্রিত হল রহস্যময় কৃষ্ণ গহ্বর

0

প্রথমবারের মতো জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকা রহস্যময় দৈত্যাকার কৃষ্ণ গহ্বরের আলোকচিত্র ধারণ করেছেন। ‘মিল্কি ওয়ে’-এর অন্দরে প্রথমবার ‘ব্ল্যাক হোল’-এর ছবি তোলা পদার্থবিদ্যার জগতে একটা বড়সড় ঘটনা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, সব কয়টি সৌরজগতে এমনকি আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রেও এমন ব্ল্যাক হোল রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে যেতে পারে না পদার্থ ও আলো। এমন এক অস্তিত্বের ছবিকে ধরা নিঃসন্দেহে একটি বড় বিষয় ছিল। ইভেন্ট হরাইজেন টেলিস্কোপ কোলাবোরেশনের তরফে এই ছবি তুলে ধরা হয়। যা গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছে।

ছবিতে একটি কেন্দ্রীয় অন্ধকার অঞ্চল, যেখানে গহ্বরটি অবস্থিত। এটি প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় ত্বরান্বিত শক্তিতে সুপার-হিটেড গ্যাস থেকে আসা আলোর মাধ্যমে প্রদক্ষিণ করে।

ভারসাম্য রক্ষার্থে বলয়টির আকার আমাদের নক্ষত্রের চারপাশে বুধের কক্ষপথের আকারের মতো। এটি প্রায় ৬০ মিলিয়ন কি.মি বা ৪০ মিলিয়ন মাইল জুড়ে বিস্তৃত।

সৌভাগ্যবশত এই দৈত্যাকার বস্তুটি আমাদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করায় এর থেকে কোনো রকমের বিপদ আসার সম্ভাবনা নেই।

এর আগেও বহুবার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলকে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে আলোর গতিবিধি ও ব্ল্যাক হোলের বৈশিষ্ট্য কখনওই এর সহায়তা করতে পারেনি। মিল্কি ওয়েতে এই ব্ল্যাক হোলকে বলা হচ্ছে ‘স্যাজিটেরিয়াস এ’। আমাদের সৌরজগতের সূর্যের থেকেও ৪ মিলিয়ন গুণ এটি বড়। একেবারে যেন দৈত্যাকার। তবে এটা বিশ্বের প্রথম ব্ল্যাক হোলের ছবি নয়। এর আগে ২০১৯ সালে তা প্রকাশ্যে এসেছে একবার। তবে সেবারে যে সৌরজগতের ব্ল্যাকহোলকে তুলে ধরা হয়, তা ৫৩ আলোকবর্ষ দূরে ছিল। সেই নিরিখে মিল্কিএয়ের ব্ল্যাক হোল খানিকটা আমাদের কাছে।

ইএইচটি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ইউরোপীয় অধ্যাপক হেইনো ফাল্কে বলেছেন, এই নতুন চিত্রটি বিশেষকিছু। কারণ এটি আমাদের সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল।

র‌্যাডবউড ইউনিভার্সিটির জার্মান-ডাচ বিজ্ঞানী নিজমেগেনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এটি আমাদের একেবারে কাছেই। আপনি যদি ব্ল্যাক হোল কী এবং তারা কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে চান তবে এটিই আপনাকে বলবে। কারণ আমরা একে বিশদভাবে দেখতে পাই।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.