টপ পোষ্ট

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে সাড়ে তিন বছর নিষিদ্ধ টেইলর

0

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে সাড়ে তিন বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব অবহিত না করায় এই শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টেইলরের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইসিসি।

স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও গোপন করেছিলেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক। বিষয়টা যখন দিন চারেক আগে জানালেন নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, বড় নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন তিনি।

অবশেষে আইসিসির আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে পরিষ্কার হলো বিষয়টা।

এছাড়াও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী চারটি আলাদা আলাদা ধারা ও আইসিসি অ্যান্টি-ডোপিং কোডের একটি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে টেইলরের বিরুদ্ধে।

আইসিসি ঘোষিত শাস্তি ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছেন টেইলর। তার এই শাস্তি ২৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে জানিয়েছে আইসিসি।

গত ২৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে চার পৃষ্ঠার এক বিবৃতি দিয়ে নিজের অপরাধের কথা জানান টেইলর।

টেইলর বলেছিলেন, স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে ভারতে ডেকেছিল এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। আর ভারতে আসার জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারও দেওয়া হয় তাকে।

তিনি আরও বলেন, যা ছিল স্পট ফিক্সিং করার জন্য ডিপোজিট। আলোচনা শেষে রাতের পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন সেবন করিয়ে ভিডিও ধারণ করে তারা। এরপরই ব্ল্যাকমেইলিং শুরু হয়েছিলো। আর ‘ব্ল্যাকমেইল করে’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

দেশের হয়ে ৩৪ টেস্টে ২৩২০ রান, ২০৫ ওয়ানডেতে ৬৬৮৪ রান এবং ৪৫টি টি-টোয়েন্টিতে ৯৩৪ রান করেন ৩৫ বছর বয়সী টেইলর। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিন ফরম্যাটে বিভিন্ন মেয়াদে জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক ছিলেন টেইলর।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সাকিব আল হাসানও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাবার ঘটনাটি সময়মতো আইসিসিকে না জানানোর জন্য ২০১৯ সালে দু’বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। পরে শাস্তি কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.