নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মজুমদারহাট বাজার থেকে স্কুলছাত্রীকে (১৬) অপহরণের পর আটকে রেখে একাধিকবার গণধর্ষণের মামলার দুই নং আসামী কালামকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩ আসামী পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় আনা হয়। এর আগে সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কালাম (৪৬) বেগমগঞ্জ উপজেলা নরোত্তমপুর এলাকার জালাল আহমদের ছেলে।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, নির্যাতিত নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামের পুলিশের একাধিক দল। অভিযানকালে সোমবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে মামলার ২নং আসামী কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করার ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ২৬ আগস্ট সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মজুমদার হাট সংলগ্ন আবু নাছেরের বাড়ির সামনে থেকে নরোত্তমপুরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন(২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচবাড়ির ফরহাদ (২৭) তাকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগের ছাতারপাইয়ার এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। ওই বাড়িতে মামুন ও কামাল ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে সোনাইমুড়ী বাজারে এনে বাসযোগে প্রথমে ঢাকা ও পরে টাঙ্গাইলের শহিদপুরের এক বাড়িতে নিয়েও কামাল, নাছের ও ফরহাদ তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ এবং মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) শহিদপুর থেকে ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে বাড়িতে চলে এসে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।