টপ পোষ্ট

১৫৩ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

0

জয়ের ধারায় ফিরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়েই ওমানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বাঁচা-মরার এই লড়াইয়ে আগে ব্যাটিং করে নাঈম শেখের ফিফটি ও সাকিবের ৪২ সত্ত্বেও ১৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে মাস্কাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে ব্যাটারদের সেই ব্যর্থতায় মাত্র ২১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে আবারো বিপদে পড়ে দলটি। মাঝে সাকিব-নাঈম মিলে বিপর্জয় সামাল দিলেও শেষ দিকে যেন তাসের ঘরের মতই ভেঙে পড়ে ব্যাটাররা।

শুরুতেই ৬ রান করা লিটনের পর অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে শূন্য রানেই ক্রিজ ছাড়েন ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে ওয়ান ডাউনে নামা শেখ মাহেদী হাসান। এরপর অবশ্য বিপর্যয় সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে খেলতে থাকেন নাঈম ও সাকিব। চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৫৩ বলে ৮০ রানের এক অনবদ্য জুটি।

যে জুটিতে দলীয় স্কোর একশ পার করে বাংলাদেশ। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এক থ্রোতে ভেঙে যায় এই মেলবন্ধন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউট হয়ে ফেরেন নিজের ছন্দে খেলতে থাকা সাকিব আল হাসান, ছুটছিলেন ফিফটির লক্ষ্যেই। তবে ৪২ রানেই ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর ২৯ বলের এই ইনিংসে ছিল ছয়টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার।

সাকিব ফিরতেই যেন ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসেও। একে একে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন মুশফিক-রিয়াদকে বসিয়ে রান বাড়াতে নামানো সোহান ও আফিফ। দুজনে ফেরেন যথাক্রমে ৩ ও ১ রান করে। পরক্ষণেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিফটি হাঁকানো নাঈম শেখও। যার ফলে ২ উইকেটে ১০১ রান থেকে ১২২ রানেই ৬ উইকেট হয়ে যায় টাইগারদের স্কোর।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন নাঈম। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৫০ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কার মার। এছাড়া শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১০ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয়।

ওমানের পক্ষে ১৯তম ওভারে মুশফিক ও সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ফাইয়াজ বাট নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তবে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেয়া বিলাল খানই ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। এছাড়া কালিমুল্লাহ লাভ করেন ২টি করে উইকেট।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.