টপ পোষ্ট

টানা দুই ম্যাচেই ব্যর্থ তামিম

0

চলতি বছরের ২০ জুলাই জিম্বাবুয়ের মাঠে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন তামিম ইকবাল। ইনজুরির ব্যথা কমিয়ে দুই মাস পর নেপালের লিগে ফিরলেও দেশ সেরা এই ওপেনারের ব্যাটে রান নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১১২ রান করলেও ইপিএলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না তামিম।

নেপালে চলমান এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) দ্বিতীয় আসরের ১০ম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ললিতপুর প্যাট্রিয়টস-এর মুখোমুখি হয়েছে তামিম ইকবালের দল ভাইরাহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্স। ললিতপুরের ছুঁড়ে দেয়া ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তামিম।

আগের ম্যাচে বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১৩ বলে ১২ রান করে আউট হওয়া তামিম এদিন শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন। সুযোগ বুঝে হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। আরেক ওপেনার প্রদীপ অইরি ৮ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরলে খানিক চাপে পড়ে যায় দল।

সেই চাপ সামাল দিতে তামিম দেখেশুনে খেলছিলেন। তবে নিজের মোকাবেলা করা ১৬তম ডেলিভারিতে তিনি ক্যাচ তুলে দেন ললিতপুরের অধিনায়ক কুশল ভুরতেলের হাতে। এতে রিজান ধাকালের শিকার হয়ে শেষ হয় ১৬ বলে ৩টি চারে সাজানো তামিমের ১৪ রানের ইনিংস।

তবে শেষ পর্যন্ত উপুল থারাঙ্গার অনবদ্য ফিফটিতে চড়ে ম্যাচটা টাই করে গ্ল্যাডিয়েটর্স। উত্তেজনাময় এমন ম্যাচে ৪৪ বলে তিনটি ছক্কা ও ছয়টি চারের সাহায্যে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান এই ব্যাটসম্যান। যাতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্যাট্রিয়টসের সমান ১৭৭ রানে গিয়ে পৌঁছে শরদ ভেসাওকারের দল।

শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়েই মূলত ম্যাচটি টাই করেন অধিনায়ক। এছাড়া দলটির পক্ষে ১৯ বলে ৩৫ রান করেন কুশল মাল্লা। প্রতিপক্ষের বোলার রশিদ খান শেষ ওভারে ১৭ রান দিলেও এক উইকেটসহ মোট ৩৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন চার ওভার বল করে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ললিতপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৭ রান। দলের পক্ষে সান্দুন উইরাকদি ৫৮, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৪২ ও সুন্দিপ ৩৮ রান করেন। ভাইরাহাওয়ার পক্ষে অবিনাশ বোহারা শিকার করেন জোড়া উইকেট।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.