টপ পোষ্ট

বাড়ির কি কি কাজ স্মৃতি বৃদ্ধি ও স্মৃতিভ্রংশ করে

0

প্রাত্যহিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ মন ভালো না থাকলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না বা ভালো থাকে না। মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরণের চাপ ও চিন্তা-ভাবনর কারণে সৃষ্টি হয় মানসিক সমস্যা। আর দৈনন্দিন ব্যস্ততার কারণে বেশির ভাগ মানুষ মনের যত্নের খেয়াল রাখে না বা রাখতে পারে না।

এই অতিমারির সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা। আমাদের জীবনে বিভিন্ন বদ অভ্যাস’ই স্মৃতিভ্রংশের কারণ। যেমন- নিয়মিত ঘুম না হলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। দীর্ঘদিন ধরে যারা অনিদ্রায় ভুগছেন, তাদের মধ্যেও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মস্তিষ্ক। অতিরিক্ত খাওয়া অথবা প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া স্মৃতি নষ্টের কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে একাকীত্ব ও হতাশায় ভুগলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে স্মৃতি হারানোর প্রবণতা বেশি। তবে কাজের মধ্যে দিয়েও নেওয়া যায় মানসিক যত্নের। বাড়ির কাজের মধ্যে দিয়েও হতে পারে মনের যত্ন। ভালো থাকতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য।

যেমন- রান্নার মতো সৃজনশীল কাজ কমই আছে। এর মধ্যে অনেক ভাবনা-চিন্তার অবকাশ আছে। কোন সবজি কী ভাবে কাটা হবে তা থেকে শুরু করে মশলা বাছাই— সব কিছুতেই মস্তিষ্কের অনেক কাজ থাকে। তাতেই লাভ হয় মস্তিষ্কের। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা এর প্রভাবে দূরে থাকে। ঘর পরিষ্কার করলে মস্তিষ্কে এন্ডর্ফিন হরমোন তৈরি হয়। তাতে মন ভাল হয়। নিয়মিত ধ্যান করলে ঠিক যা কাজ হয়, এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়ে থাকে। বাগানের কাজ করলেও মানসিক চাপ কমে। মন ও শরীর সতেজ হয়। তার ফল পায় মস্তিষ্ক। চারপাশের চাপর প্রভাব কম পড়ে মস্তিষ্কের উপর।

এ ভাবে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলে যেকোনো বয়সে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.