টপ পোষ্ট

১৮ বিমানে কাবুলে উদ্ধার তৎপরতা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র

0

আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বেসরকারি বাণিজ্যিক বিমান ব্যবহার করবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৮টি বিমানে এসব মানুষকে আফগানিস্তানের বাইরে নিরাপদ তৃতীয় কোন দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে।

রোববার (২২ আগস্ট) মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা ‘সিভিল রিজার্ভ এয়ার ফ্লিট’ নামের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

এর আওতায় আপৎকালীন সময়ের জন্য বেসরকারি বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্স কোম্পানির বিমান ব্যবহার করতে পারে মার্কিন সরকার। এই ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ আরোপ করেছিল ১৯৯০-৯১ এবং ২০০৩ সালে ইরাক ও কুয়েত থেকে মানুষজনকে উদ্ধারে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসরকারি বিমান ব্যবহারের ফলে সামরিক বিমানগুলোকে কাবুল ও তার আশপাশে কাজে লাগানো সম্ভব হবে। আর উদ্ধার কাজে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, অমনি এয়ারলাইন্স এবং হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্স থেকে ১৮টি বিমান নেয়া হবে।

আগস্টের ১৫ তারিখ তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার পর থেকে বিমানবন্দরের হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশ ছাড়ার চেষ্টায় ভিড় করতে থাকে।

একই সাথে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের এবং আফগান সহকর্মীদের মধ্যে যারা যোগ্য তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে ২৮ হাজারের মতো মানুষকে কাবুল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কষ্ট এবং হৃদয়বিদারক দৃশ্য ছাড়া এত মানুষকে একসাথে সরিয়ে নেয়ার কোন উপায় নেই। আমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে এবং এখনো অনেক ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা রয়েছে।’

আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া মানুষজনের কাগজপত্র যাচাই করা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য দুই ডজন দেশে বিশেষ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

তিনি বলেছেন, ‘যেসব আফগান যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করেছে আমরা তাদের নতুন আবাসভূমিতে স্বাগত জানাবো।’

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে এখনও এক হাজারের মতো মার্কিন নাগরিক রয়ে গেছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, বিমানবন্দর ও তার আশপাশে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। যাদের একটি অংশ ভিড়ে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হিপে বলেছেন, তালেবান মানুষজনকে এখন সারি বেধে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কাজ করছে। যাতে করে কাবুল ত্যাগের প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। যুক্তরাজ্য ১৩ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি মানুষকে কাবুল থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দেশটির এক হাজারের মতো সেনা কাবুলে অবস্থান করছে।

এদিকে বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে মার্কিনীদের নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন তালেবান বাহিনীর কর্মকর্তা আমির খান মুতাকি। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুণ

Comments are closed.