টপ পোষ্ট

পিসিআর ‘দূষিত’ খুমেকে করোনা টেস্ট বন্ধ

0

খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি পিসিআর ল্যাব ‘দূষিত’ হওয়ায় তিনদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চালু হওয়ার ১৫ মাসের মাথায় এটি প্রথমবারের মতো বন্ধ হলো। গতকাল বুধবার নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে ল্যাবটির কার্যক্রম বন্ধ করে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।

তিনি বলেন, ল্যাবটি বন্ধ হওয়ার কারণে আগে থেকে মজুত থাকা প্রায় দুই হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হবে সেগুলোও এ ল্যাবে পরীক্ষার সুযোগ থাকছে না। তবে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অবস্থান করা রোগীদের মধ্যে যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হবে।

খুবিতে একদিনে মাত্র ৯৪টি নমুনা পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাব থেকে কিট, রি-এজেন্ট নিয়ে এখানকার জনবল গিয়েই খুবির ল্যাব থেকে শুধু পরীক্ষাগুলো করিয়ে আনবে। তা না হলে রোগীর ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। আর করোনা হাসপাতাল থেকে রোগী ছাড়া না গেলে নতুন করে ভর্তিও করা যাবে না বলে জানান ডা. মেহেদী নেওয়াজ।

তিনি আরও বলেন, পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা স্বাভাবিক রাখতে হলে প্রতিমাসে অন্তত একবার করে দূষণমুক্ত করা উচিত। কিন্তু খুমেকের পিসিআর ল্যাবটি গত বছর ৭ এপ্রিল থেকে চালুর পর কখনই এমনটি করা হয়নি। কেননা, একবার দূষণমুক্ত করতে হলে অন্তত দুদিন ল্যাব বন্ধ রাখতে হয়। এ ল্যাবে প্রচুর চাপ ছিল যে কারণে মাসে দুদিন বন্ধ রাখা অসম্ভব ছিল।

গতকাল প্রায় সাড়ে পাঁচশ’র মতো নমুনা পরীক্ষার সময় দেখা যায় সবগুলোই পজিটিভ। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে ল্যাবটি দূষিত হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়।

বুধবার যেসব নমুনার পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি সেগুলোর জন্য আর নতুন করে নমুনা নেওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, তাদের নমুনা যেহেতু রেখে দেওয়া হয়েছিল সেহেতু পরবর্তীতে হয়তো ঢাকা থেকে অথবা খুলনার ল্যাবটি পুনরায় চালু হলে পরীক্ষা করা হবে।

পিসিআর ল্যাব বন্ধ থাকলেও খুলনাসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এন্টিজেন পরীক্ষা যথারীতি চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.