টপ পোষ্ট

আল্লামা আহমদ শফী আর নেই

0

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন বলে ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বার্ধক্যজনিক রোগের কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকালে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।

শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বরকম আলী, মায়ের নাম মোছাম্মাৎ মেহেরুন্নেছা বেগম। আহমদ শফীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ পাখিয়ারটিলা কওমি মাদ্রাসার পরিচালক। ছোট ছেলে আনাস মাদানি হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক।

সরফভাটা মাদ্রাসায় পড়ালেখার মাধ্যমে আহমদ শফীর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (জিরি মাদ্রাসা) লেখাপড়া করেন। ১৯৪০ সালে তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় তিনি চার বছর লেখাপড়া করেন। এরপর আহমদ শফী ১৯৮৬ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন। টানা ৩৪ বছর ধরে ওই পদে থেকে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় আহমদ শফী মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর পরপরই মাদ্রাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.