টপ পোষ্ট

মাতারবাড়িতে হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর

0

আকার বাড়ছে দেশের অর্থনীতির, বাড়ছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ অবস্থায় বিশ্ব বাণিজ্যের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বছরে হ্যান্ডেলিং করতে হচ্ছে ৩০ লাখের বেশি কন্টেইনার। ফলে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে সময় লেগে যাচ্ছে ১২ থেকে ১৪দিন। এতে করে নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় ব্যবসায়ীদের।

এমন অবস্থা বিবেচনা করে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৬ সালের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যেখানে ভিড়তে পারবে সব ধরণের জাহাজ।

জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগের কারণে ট্রাকিং করতে ছয় ঘণ্টার জায়গায় হয়তো দেড় থেকে দুইদিন লেগে যায়। সবকিছু মিলিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমাদের গুরুত্ব দেয়ার বিকল্প নেই।’

দেশের বন্দর কার্যক্রম বাড়াতে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বন্দর নির্মাণে তৈরি করা হয়েছে ১৮ মিটার গভীরতার সাড়ে ৩শ’ মিটার চওড়া নতুন চ্যানেল।

বন্দরটির নানা কারিগরি দিক তুলে ধরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাফর আলম বলেন,‘বন্দরটি মূলত কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দর নির্মাণে কনসালট্যান্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা আগামী ১০ মাস বন্দরের পুরো ডিজাইন নিয়ে কাজ করবে।’

বন্দর নির্মাণে জাইকা দিচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা। চার হাজার কোটি টাকা আসবে সরকারি কোষাগার থেকে। আর ৩ হাজার কোটি টাকার যোগান দেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.