টপ পোষ্ট

একদিন আগেই ওকস-বাটলার বীরত্বে জয় পেল ইংল্যান্ড

0

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে একদিন বাকি রেখেই জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান ২৭৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল ইংলিশদের। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১৬০ রান। বাকি আছে পাঁচ উইকেট, তবে এর মধ্যে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে জস বাটলার এবং ক্রিস ওকস। ওল্ড ট্রাফোর্ডে এই জুটিই সেই কঠিন কাজটিই করে দেখালেন।

ম্যাচের এক সময় সফরকারী দলের বোলিং ইংলিশদের জন্য কাজটা কঠিন বলেই জানান দিচ্ছিল। তা ছাড়া শেষ ২০ বছরে কোনো দলই পাকিস্তানের বিপক্ষে আড়াই শ’র বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি। কিন্তু সেই কঠিন সময়ে বাটলার-ওকসের নৈপুণ্যে ৩ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের করল জো রুটের দল। তাতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ষষ্ঠ উইকেটে ক্রিস ওকস ও জস বাটলার ১৩৯ রানের জুটিই জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের। বাটলার খেলেছেন ৭৫ রানের ইনিংস। আর ক্রিস ওকস ৮৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৯ রান। আর দুই ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন ৪ (২+২) উইকেট। এই অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণে হয়েছেন ম্যাচসেরা।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের লিড নিয়েও হারের মুখ দেখলো সফরকারি পাকিস্তান। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতা ডুবিয়েছে সফরকারীদের। তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রান তুলতে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। চতুর্থ দিন ইয়াসির শাহ এবং আব্বাস আলী যখন মাঠে নামেন তখন পাকিস্তান এগিয়ে ২৪৪ রানে। সেখান থেকে দলের রানের সঙ্গে আরও ৩২ রান যোগ করে পাকিস্তান। এর বড় কৃতিত্ব ইয়াসিরের। ২৪ বলে ঝড়ো ৩২ রান করেন এই লেগ স্পিনার। ইংল্যান্ডের পক্ষে ব্রড ৩টি এবং ওকস-স্টোকস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

প্রতিপক্ষকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। খেলতে নেমে ধীর ব্যাটিংয়ে এগুতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে ২২ রানের মাথায় আব্বাসের বলে ররি বার্নসকে (১০) হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সিবলি এবং রুট গড়েন ৬৪ রানের জুটি। তবে ইয়াসিরের বলে ৩৬ রান করে সিবলি ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি। এরপর আরও ৩ উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। রুট ৪২ রান করলেও স্টোকস ৯ এবং পোপ ৭ রান করে ফিরে যান।

এরপর বাটলার সতীর্থ ওকসকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে দলের জয় এক প্রকার নিশ্চিত করেন। ১০১ বল খেলে ৭৫ রান করে বাটলার যখন ইয়াসির শাহর বলে আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ২১ রান। দলীয় ২৭৩ রানের মাথায় সতীর্থ স্টুয়ার্ড ব্রডকে হারালেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি ওকস। ১২০ বল খেলে ১০ চারের সাহায্যে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।

শেষ ৬ সিরিজের মধ্যে ইংল্যান্ড এই প্রথম সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পেল। বৃহস্পতিবার সাউদাম্পটনে শুরু হবে দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.