টপ পোষ্ট

দেশে করোনায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু

0

ফাইল ছবি

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও প্রতিদিনের হারে তা কমেছে। বাংলাদেশের অবস্থাও এখন পর্যন্ত আগের মতই। দিন দিন ভয়াবহ রূপ লাভ করছে করোনা।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ৮৭৪ জনে। এসময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩০ জন। এ নিয়ে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮।

শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৯ হাজার ৬১৫টি। আগের দিনেরসহ মোট ১২ হাজার ২৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে ২ হাজার ৫৩০ জনের। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৪৮০টি।

এছাড়া একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৯০ জন রোগী সুস্থ হলেন।

এদিকে মাত্র তিন দিনের মাথায় আবারও একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখল বিশ্ব। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ২ লাখ প্রায় ৮০ হাজারের রেকর্ড সংক্রমণ ঘটেছিল। যার অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত একদিনে বিশ্বের ২ লাখ ৮৯ হাজার ২৮ জনের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ ঝরেছে আরও ৬ হাজার ১৯৯ জনের। এতে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৮৫ জনে ঠেকেছে।

তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছে। যদিও আক্রান্তের তুলনায় তা অর্ধেক। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ৯৭ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.