টপ পোষ্ট

দেশে করোনায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩২৪০

0

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪২৫ জন।

একই সময়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩২৪০ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক লাখ আট হাজার ৭৭৫ জনে।

শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৭৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৪ হাজার ৩২টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২৪০ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ আট হাজার ৭৭৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৪২৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৮ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন।

গত শুক্রবারের (১৯ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ হাজার ৪৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ২৪৩ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুও কমেছে, কম নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তও হয়েছে কম। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড আছে চার হাজার আট জনের। এ তথ্য জানানো হয় ১৭ জুনের বুলেটিনে।

শনিবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ০৯ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগী বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

এদিকে আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৪৫ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৮৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ৬৬ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬১ হাজার ৮২০ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন সোয়া ৪৬ লাখের মতো মানুষ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.