টপ পোষ্ট

ভারতে একদিনে প্রায় ২ লাখ পরীক্ষা, আক্রান্ত ৪ লাখের কোটায়

0

সময়ের সাথে ভারতে শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে পৌনে ২ লাখ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে করে সংক্রমণ ৪ লাখের কোটায় ঘুরছে। আশানুরূপ বেড়েছে সুস্থতার হারও, যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। যদিও প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি ভারতীয়।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ হাজার ৫৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩৬ জনের। এতে করে এখন পর্যন্ত ভারতে ১২ হাজার ৫৭৩ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

তবে আশার কথা হলো, চিকিৎসা সহায়তায় আক্রান্তদের মধ্যে ২ লাখ ৪ হাজার ৭১১ জন মানুষ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। পুনরুদ্ধারের হারে যা ৫৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৭২ জনের শারীরিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই কমপক্ষে পৌনে ২ লাখ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার ফল করোনা পজিটিভ এসেছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মিজোরাম থেকে আর নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া খবর পাওয়া যায়নি বলে শুক্রবার সরকারি একটি সূত্রে জানা গেছে। তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের এক বিবৃতি অনুসারে, ‘বৃহস্পতিবার সেখানকার জোরাম মেডিকেল কলেজে পরীক্ষিত ৮১৪টি নমুনাই করোনা নেগেটিভ আসায় সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।’

করোনা যাতে মহামারি রূপে জাঁকিয়ে বসতে না পারে তাই দিল্লিসহ দেশের ব্যস্ততম শহরগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রিয় সরকার। দ্রুত অ্যান্টিজেন পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু করে কোভিড-১৯ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ওই শহরগুলোতে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছেন, ‘মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর অনুমোদিত নতুন র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন মেথোডলজির মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা আরও ভাল ভাবে করা সম্ভব হবে। এটি পরীক্ষার রোগ নির্ণয় ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে এবং এর ফলে প্রাথমিক স্তরেই রোগ নির্ণয় করা যাবে ও রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যাবে।’

এদিকে উত্তরপ্রদেশে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে কোভিড -১৯ রোগীদের খুঁজে বের করার জন্যে গণ পরীক্ষা শুরু করার কথা বলেছে। আদালতের মতে, ওই গণ পরীক্ষা শুরু করার জন্যে সবচেয়ে ভালো জায়গা এলাহাবাদ শহর।

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন করোনা পরীক্ষার জন্য দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার চালু করেন। এর ফলে এই ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার যেতে পারবে প্রত্যন্ত গ্রামেও, সেখানেও সহজেই করোনা টেস্ট করা যাবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদনে সাড়া দিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। তবে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তরের তরফ থেকে একটি নোটিশে বলা হয়েছে ‘হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এই সম্পর্কিত ওষুধগুলি” রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নামের ওষুধটির ৭০ শতাংশ ভারতে উৎপাদন করা হয়। এই ওষুধটি লুপাস এবং রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় ‘

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রায় ২০ হাজার জনের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা একদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর মধ্যে ১৩ হাজার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা ছিল এবং ৭ হাজার ছিল র‍্যাপিড টেস্ট।

চীনের ন্যাশনাল মাইক্রোবায়োলজি ডেটা সেন্টারের ওয়েবসাইট শুক্রবার জানিয়েছে, সেদেশের রাজধানী বেজিংয়ে নতুন করে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার পিছনে রয়েছে জিনোম তথ্য।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ আশা করছে যে চলতি বছরের শেষ নাগাদ কয়েকশো মিলিয়ন কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা যাবে। ওষুধ সংস্থাগুলি যেভাবে ভ্যাকসিন তৈরিতে লাগাতার চেষ্টা করছে তাতে জাতিয় নিরাপত্তা পরিষদের স্বাস্থ্য সংস্থা আশা করছে ২০২১ সালের মধ্যে দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ তৈরি করা যাবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.