টপ পোষ্ট

রাস্তায় গণপরিবহনের যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

0

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষে আজ (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে অফিস ও কল-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এসময় থেকে গণপরিবহনও চালু থাকবে। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রাস্তায় যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অধিদফতর যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, তা হচ্ছে-

বাসের ক্ষেত্রে নির্দেশনা

১। কোভিড -১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার এবং যানবাহনগুলোতে মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুনাশক রাখতে হবে।

২। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করা এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে, তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে হবে।

৩। যানবাহনের গতির ওপর ভিত্তি করে যথাযথ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানের ক্ষেত্রে নিয়মিত পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৪। প্রতিবার চলাচলের আগে যানবাহন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা, সিট কভারগুলো নিয়মিত ধুয়ে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

৫। যাত্রী এবং কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা যেমন মাস্ক পরিধান এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা।

৭। যাত্রীদের টিকেট ব্যবহার না করে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

৮। যানবাহনে ওঠা-নামার সময় পরস্পরের মাঝে ১ মিটারের বেশি দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা।

৮। যানবাহনে রেডিও, ভিডিও, পোস্টার ইত্যাদির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কিত তথ্য প্রচার করতে হবে।

৯। গাড়িতে ভিড় কমানোর জন্য যাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন যানবাহন ব্যবস্থা করা।

১০। যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে, তবে স্থানীয় সিডিসি নির্দেশনা অনুসারে সর্বত্র জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

ট্যাক্সি বা ভাড়ায় চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে নির্দেশনা

১। যাত্রী পরিবহনের পূর্বে ট্যাক্সিতে বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন- মাস্ক, গ্লাভস, জীবাণুনাশক রাখতে হবে।

২। প্রতিদিন যাত্রা শুরুর পূর্বে ট্যাক্সির ভেতর জীবাণুনাশক দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

৩। মাঝে মাঝে জানালা খুলতে হবে, বাতাসের তাপমাত্রা এবং গাড়ির গতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে।

৪। যাত্রী পরিবহনের সময় চালক এবং যাত্রী সবাইকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

৫। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে একটু পর পর অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবণুমুক্তকরণ, হাঁচি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা কনুই দিয়ে মুখ নাক ঢেকে ফেলতে হবে।

৬। চালকদেকে জীবাণুনাশক দিয়ে ঘন ঘন স্টিয়ারিং হুইল, গাড়ির দরজার হ্যান্ডেল এবং গাড়ির অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করতে হবে। গাড়ির ভিতরের কাপড় যেমন গাড়ির সিটের কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

৭। কোনো জনসমাগমে প্রবেশের সময় এবং ফেরত আসার পর চালক ও যাত্রী দুইজনকেই হাত জীবাণুনাশক দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

৮। যখন ট্যাক্সিতে কোন সন্দেহজনক উপসর্গ যেমন- জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত যাত্রী থাকবে, তখন একই সাথে যাত্রা করছেন এমন সবাই অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন। উপসর্গযুক্ত ব্যক্তি নেমে যাবার পর জানালা খুলে বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেসব জায়গায় স্পর্শ করেছে যেমন- দরজার হাতল, সিট, স্টিয়ারিং হুইল জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৯। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকলে সেটিও পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০। কেউ যদি বমি করে তৎক্ষণাৎ তা ফেলে দেওয়া যায় এমন শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন কাপড় (ক্লোরাইড যুক্ত জীবাণুনাশক) বা জীবাণুনাশক টিস্যু দিয়ে ঢেকে ফেলে দিতে হবে। তারপর ওই জায়গায় পর্যাপ্ত জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

১১। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য রেডিও, পোস্টারের মাধ্যমে বা প্রতীকী পোস্টার ট্যাক্সির পিছনে লাগিয়ে প্রচার করতে হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.