টপ পোষ্ট

করোনা রুখতে তৈরি শক্তিশালী প্রতিষেধক!

0

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বে প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এর মধ্যে চারটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এই চারটি প্রতিষেধকের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি টিকার পরেই উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে আছে আমেরিকার মোদের্না আরএনএ ভ্যাকসিন।

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস-ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা মোদের্না আরএনএ (জেনেটিক উপাদান) ভাইরাল প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন তৈরি করে। এই অ্যান্টিজেন প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে প্ররোচিত করে এবং শরীরকে কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

ইতিমধ্যেই মোদের্নার গবেষকরা দাবি করেছেন, প্রথম দফায় আটজন মানুষের উপর তাদের তৈরি করোনা প্রতিরোধী ওষুধ ‘mRNA-1273’ প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই সংস্থাটি এই ওষুধটি তৈরি করেছে। সংস্থাটির দাবি, মোদের্না আরএনএ ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস না করলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে, সেটির সাহায্যে এই ভাইরাস প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে মার্কিন সংস্থা মোদার্নার গবেষকরা জানান, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে সংগৃহিত অ্যান্টিবডির চেয়েও বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম মোদের্না আরএনএ ওষুধটি। এই গবেষকদের দাবি, এই ওষুধের মাঝারি ক্ষমতার ডোজেই সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে।

সংস্থার চিফ মেডিক্যাল অফিসার টাল জ্যাকস জানান, আট জনের উপর মোদের্না আরএনএ ওষুধটি প্রয়োগের উদ্দেশ্য ছিল, করোনার বিরুদ্ধে এর কার্যকারিতার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া। এর পাশাপাশি এই ওষুধের প্রয়োগে কোনও বিরূপ প্রভাব আছে কিনা তা দেখে নেওয়া। চূড়ান্ত পর্বের প্রাথমিক পরীক্ষায় ওষুধটি প্রয়োগে সাফল্য মিলেছে। এবার আরও বড় সংখ্যক মানুষের উপর এই ওষুধ প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তারপর এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.