টপ পোষ্ট

করোনায় আক্রান্ত হলে যেসব নিয়ম মেনে চলবেন

0

বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনায় প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। দেশে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৭০ জনের দেহে ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়েছে। যার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন এখন পর্যন্ত ২১৪ জন।

এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে গৃহে অবস্থান করার পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও প্রয়োজনে অনেকে বাহিরে যাচ্ছেন, এতে করেই নিজে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার প্রাদুর্ভাব।

এমন অবস্থায় করোনার প্রতিরোধে কী ধরনের সচেতন হতে হবে, কিংবা আক্রান্ত হলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত? এমন অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে জমা হয়ে আছে। আসুন জেনে নিই এসব পরিস্থিতিতে পড়লে যা করতে হবে-

সন্দেহ বা আক্রান্ত হলে-

১.আক্রান্ত ব্যক্তির যথেষ্ট বিশ্রাম প্রয়োজন, পুষ্টিকর খাবার খান ও প্রচুর পানি আর তরল পান করুন।

২. রোগী ও যিনি সেবা করবেন, দুজনে ঘরে মেডিকেল মাস্ক পরবেন। হাত দিয়ে মাস্ক স্পর্শ করা, মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কাজ শেষে মাস্ক ফেলে দেবেন ময়লার ঝুড়িতে।

৩. অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে বা এর চারপাশের সংস্পর্শে এলে খাবার তৈরির আগে, খাবার খেতে বসার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান পানি দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

৪. অসুস্থ রোগীকে ঘরে থাকতে বলুন। আক্রান্ত ব্যক্তির বাসনপত্র, তোয়ালে ও বিছানার চাদর সাবান দিয়ে ধুতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তি যা যা হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন, সেগুলো বারবার জীবাণু শোধন করুন।

৫. অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বা শ্বাসকষ্ট হলে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে ফোন করুন।

৬. মারাত্মক অসুস্থ রোগীকে নিকটস্থ সদর হাসপাতালে যেতে বলুন।

৭. করোনা বিষয়ক তথ্য পেতে এবং সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য দিন। রোগীর পূর্ণ নাম ঠিকানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। স্বাস্থ্য বাতায়নের হটলাইন নম্বর ১৬২৬৩, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ৩৩৩, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর: ০১৭৬৯০৪৫৭৩৯, মিথ্যা বা গুজব প্রচারের বিষয়টি নজরে এলে ৯৯৯ অথবা ৯৫১২২৬৪, ৯৫১৪৯৮৮। এছাড়া আছে জাতীয় হেল্পলাইন (৩৩৩) সেবা।

ব্যক্তিগত সচেতনতা-

১. ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)।

২. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।

৩. ইতোমধ্যে আক্রান্তএমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

৪. কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন (হাঁচি/কাশির সময় বাহু/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন)।

৫. অসুস্থ পশু/পাখির সংস্পর্শ পরিহার করুন।

৬. মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাবেন।

৭. জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত চীন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজন ব্যতীত এ সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করুন।
৮. অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.