টপ পোষ্ট

দিল্লিতে নির্ভয়ার গণধর্ষণ মামলায় ৪ ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর

0

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নির্ভয়ার গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এতে উল্লাসে ফেটে পড়ল সাধারণ মানুষ। তিহাড় জেলের বাইরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

মধ্যরাতের শুনানিতে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় দিল্লি তিহাড় জেলে ফাঁসি হয় নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীর।

এদিন জেলের বাইরে জমায়েত ভিড়ের মধ্যে নারীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী যোগিতা ভায়ানাকেও। তাকেও মিষ্টিমুখ করতে দেখা যায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সকালের দিকে তাদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে। শোনা যাচ্ছে, মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে কিছু লিখিত শর্ত চাপানো হয়েছে।

সূত্রের খবর, মরদেহ শেষকৃত্য করা নিয়ে কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই আসামিদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এদিন ভোর সোয়া তিনটার দিকে ঘুম থেকে তোলা হয় চার অভিযুক্তকে। গোসল করানো হয়। ফাঁসির জন্য তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁসি ঘরের দিকে। নিয়ে যাওয়ার পথে এক অভিযুক্ত মাটিতে শুয়ে পড়ে। তাকে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঘরে। শোনানো হয় মৃত্যু পরোয়ানা।

ভোর সাড়ে ৫টায় ফাঁসি হয় ওই চারজনের। ১২০ মিনিটের কাউন্টডাউন শেষে ফাঁসুড়ে পবন ট্রিগার টেনে একসঙ্গে চার অভিযুক্তের ফাঁসি দেয়। এরপর ৩০ মিনিট ফাঁসি কাঠে ঝুলতে থাকে দেহ। আধ ঘণ্টা পর কুয়ায় ফেলে দেওয়া হয় দেহ।

নির্ভয়ার মা, আশাদেবীর কাছে সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার খবর পৌঁছাতেই তিনি জড়িয়ে ধরেছিলেন নির্ভয়া নামে পরিচিত তার মেয়ের ছবিকে।

অন্যদিকে, চার দোষীর মৃত্যুদণ্ডের খবর বাইরে আসতেই হাততালি পড়তে থাকে। কয়েকশ মানুষ একসঙ্গে হাততালি দিতে থাকেন। এদিন বহু মানুষ প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে জেলের বাইরে ভিড় জমান। যার মধ্যে অনেকেই দাবি করেন যে, এমনভাবেই যেন আগামীদিনে সমস্ত নারীর ওপর হওয়া ঘটনার বিচার হয়। কেউ কেউ আবার দেশের একাধিক আদালতে চলা ধর্ষনের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী নির্ভয়া। এক নাবালকসহ ৬ জন মিলে নারকীয় অত্যাচার চালায় নির্ভয়ার ওপর। অপরাধের ৭ বছর ৩ মাস পর ফাঁসি হলো গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের। অভিযুক্ত বাসচালক রাম সিংহ জেলের ভিতর আগেই আত্মঘাতী হয়েছে। অভিযুক্ত নাবালক ৩ বছর সংশোধনাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.