বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পলাতক মোর্শেদ আমত্য আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরুল হাসান এ তথ্য জানান।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন আদালত। আগামি ১৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত গত ৩ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন আসামিরা পলাতক রয়েছে দেখিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
এজন্য আদালত সম্পত্তি ক্রোক পরোয়ানা জারি করেছেন। কিন্তু আসামিদের ব্যক্তিগত কোনো মালামাল না থাকায় সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি।
গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৮ নভেম্বর ডিবি পুলিশের দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।
মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ পলাতক থাকায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পানি-চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনের মুখে প্রাণ হারান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ।
ওই দিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে মামলার তদন্তের স্বার্থে এজহার বহির্ভুত কয়েকজনকেসহ আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেফতার করা হলো।