টপ পোষ্ট

নাগরিকত্ব সংশোধন বিল: আবারও উত্তাল দিল্লি

0

নাগরিকত্ব সংশোধন বিল’র (ক্যাব) প্রতিবাদে আবার উত্তাল হয়েছে দিল্লি। প্রবল ঠান্ডা উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে একাধিক সংগঠন। জামা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় টহলও জোরদার করেছে রাজ্য পুলিশ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

জামা মসজিদের সামনে বিক্ষোভে অংশে নেন কংগ্রেস নেতা অলকা লাম্বা এবং দিল্লির এক প্রাক্তন বিধায়ক শোয়েব ইকবাল। নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে লাম্বা বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে বেকারি একটা বড় সমস্যা। কিন্তু আপনি এনআরসি’র জন্য মানুষকে লাইনে দাঁড় করাচ্ছেন। যেমনটা করেছিলেন নোটবন্দির সময়।’ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় আগের অশান্তির কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে মসজিদের সামনে।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বেশ কয়েকটি সংগঠন এ দিন মিছিলের ডাক দিয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ভবন, সিলামপুর এবং জাফরাবাদ। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এ দিন বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। উত্তর প্রদেশ ভবনের সামনে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ ভবন। ১৫ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। ড্রোনের সাহায্যেও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজনকে আটকও করেছে পুলিশ।

এদিকে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসরের চেষ্টা করেন। তবে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন থাকায় তারা অগ্রসর হতে পারেননি। জোরবাগেও আজাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। জমায়েতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত শুক্রবারই জামা মসজিদের সামনেই চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল। সে সন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসময় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে দুই শতাধিক আহত হন।

নাগরিকত্ব সংশোধন বিল’র প্রতিবাদে বেশ কয়েক দিন ধরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়ে। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যন্তর মন্তর, সিলামপুরসহ দিল্লির বহু জায়গায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যানবাহনে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। ঐ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এ দিন রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন