টপ পোষ্ট

রুম্পাহত্যা, প্রেমিক সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে

0

মফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পুলিশকন্যা রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তার কথিত প্রেমিক আব্দুর রহমান সৈকতের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সৈকতকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ।

এদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। অপরদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন সৈকতের তার আইনজীবী। যা নামঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে শনিবার রাতে সৈকতকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রোববার তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

জানা যায়, ২২ বছর বয়সী সৈকত নিহত রুম্পার প্রেমিক। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রুম্পার সঙ্গে তার কথা হয়। সৈকত একসময় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়।

সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠায়। ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত তরুণীর হাত-পা ও কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল।

তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণটা স্পষ্ট হবে। ভবন থেকে পড়ে মারা যাওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা? তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পরেরদিন ৫ ডিসেম্বর রাতে রমনা থানার ওসি নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘নিহতের নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন’।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন