টপ পোষ্ট

‘আইএস টুপি’ কিভাবে পেল, জানালো রিগ্যান

0

হলি আর্টিজান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিগ্যানসহ ছয় আসামিকে কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আইএসের টুপি পাওয়ার বিষয়ে বিচারক মজিবুর রহমান জানতে চাইলে ‘ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন তাকে আইএসের টুপি দিয়েছিল’ বলেই জানায় রিগ্যান।

মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদেরকে ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে রিগ্যান ওই জবাব দেয়।

এদিন আদালতে শুনানি চলার একপর্যায়ে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান  রিগ্যানের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন- আইএসের টুপি কোথায় পেয়েছিলেন? উত্তরে রিগ্যান আদালতকে বলেন, ‘পথিমধ্যে (কারাগার থেকে আদালতে আসার পথে) একজন এ টুপি দেয়’।

এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার রায় ঘোষণার জন্য রিগ্যানসহ অন্য আসামিদের আদালতের গারদে নেয়া হয়। তখন রিগ্যানের মাথায় আইএসের লোগোসহ টুপি ছিল না।

কিন্তু রায় ঘোষণা শেষে অন্যান্য আসামির সঙ্গে বের করে আনার সময় তার মাথায় আইএসের লোগোসহ টুপি দেখা যায়। এসময় তারা সবাই ‘আল্লাহু আকবর’ বলেও চিৎকার দেয়।

এদিকে, মঙ্গলবার কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় হামলা মামলার শুনানির তারিখ ধার্য থাকায় এদিন সকাল থেকে আদালত চত্বরে ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এ মামলায় জড়িত থাকায় দুপুরের একটু আগে হলি আর্টিজান হামলা মামলার ছয় আসামিসহ মোট সাত আসামিকে কারাগার থেকে মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদেরকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় হামলা মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন−রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুল মেন (৩৩) ও হাদিসুর রহমান সাগর (৪০)।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ‘জাহাজ বিল্ডিং’ বাড়িতে রাতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ৯ জঙ্গি মারা যায়। হাসান নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ, অপর একজন পালিয়ে যায়। তারা সবাই জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ওই ঘটনায় ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন