দেশে নতুন এইডস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৭০ জন। এইডস আক্রান্তদের মধ্যে বিবাহিতদের সংখ্যা বেশি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগী কম। বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি এইডস রোগী রয়েছেন। সে তুলনায় বাংলাদেশে এর হার দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ওষুধ দেওয়ার যে কাভারেজ, তাতেও বাংলাদেশ এগিয়ে। বিশ্বে ৫০ ভাগ ওষুধের কাভারেজ রয়েছে। আর আমাদের দেশে তা ৬১ ভাগ। তবে আমরা এতে সন্তুষ্ট না, আরও বাড়াতে হবে।
এইডস এর তথ্য তুলে ধরে ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, বিবাহিতদের মধ্যে এইডস রোগী বেশি। এ রোগে আক্রান্ত বিবাহিত হলেন ৫৮৭ জন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে ১০৫ জন। এছাড়া ১৭৫ জন সিঙ্গেল, ১৭ জন ডিভোর্স, ১০ জন বিধবা ও চারজন ভিন্নমতের।
তিনি বলেন, ‘১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে এইডস আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৪ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪২ জন। ২০১৯ সালে দেশে ২৭ হাজার ১৬৮ জন সাধারণ মানুষের এইডস টেস্টিং ও ৪১ হাজার ৩০৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
তিনি জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪% পুরুষ, ২৫% নারী ও ১% ট্রান্সজেন্ডার। ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের হার বেশি। নতুন আক্রান্তদের ৬০৫ জন অর্থাৎ ৭৪.৪২% এই বয়সী। দেশে আনুমানিক এইডস রোগী ১৪ হাজার।’
