টপ পোষ্ট

শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে

0

শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। নিঃসন্দেহে এই আবহাওয়াটা বেশ উপভোগ্য হলেও ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে শীত। ঠাণ্ডায় ত্বক-ঠোঁটে টান ধরে এবং চির ফাটলও ধরে। কারণ এ সময়ে ত্বক বড় বেশি শুষ্ক থাকে। তাই নিয়মিত যত্ন না নিলে একেবারে নির্জীব এবং বয়স্ক ছাপ পড়ে যায়।

শীতে অভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই শীতের ক্ষতি থেকে আপনার ত্বক বাঁচবে, এর সঙ্গে থাকবে উজ্জ্বলও। এবার সে সম্পর্কে জানা যাক…

  • শীত মানেই গরম পানিতে গোসল করার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু সেটা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। শুধু পানির ঠাণ্ডা ভাব কাটিয়ে নিন। উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করা ভাল। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তেলের মাত্রা বজায় থাকে।
  • গোসলের আগে ভাল করে তেল মেখে নেওয়া যায়। অলিভ অয়েল মাখতে পারেন। সরিষার তেল বা নারিকেল তেলও চলতে পারে। তেল মেখে মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন। তেল গায়ে বসলে তার পরে গোসল করে নিন।
  • গোসল করতে না পারলে উষ্ণ গরম পানি তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে স্পাঞ্জ করে নিতে পারেন।
  • অনেকে আবার তেল মাখতে পছন্দ করেন না। তাঁদের জন্য ময়শ্চারাইজার বাধ্যতামূলক। গোসলের পরে ভাল করে ময়শ্চারাইজার মেখে নিতে পারেন।
  • গরমকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেও অনেকে শীতকালে সেটা মাখার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু শীতকালেও সানস্ক্রিন মেখে রোদে বের হওয়া ভাল।
  • শীতে প্রকৃতিও বড় বেশি রুক্ষ হয়। বাতাসে আর্দ্রতা একেবারেই কমে যায়। ফলে ধুলাবালি ওড়ে। তখন ত্বক ময়লা হয় বেশি। ডিপ ক্লেনজার দিয়ে দিনে দু’বার ত্বক পরিষ্কার করা দরকার।
  • স্কুল-কলেজ-অফিসের চাপে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কথা মনেই থাকে না। বাড়ি ফিরে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার ভাল কোন ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকও সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে আবার উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাত-পা ভাল করে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার লাগান।
  • শীতকালে পানি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এতে শরীর ড্রাই হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ত্বকে। শীতকালেও বেশি করে পানি খেতে হবে। সঙ্গে মওসুমি ফল খান বেশি বেশি।
  • শীতকালে মাস্ক লাগালে ত্বক থাকে টানটান, মসৃণ ও নরম। অলিভ অয়েল, কলা, দই ও এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন।
  • এ সময়ে ত্বকে মৃত কোষ বাড়ে। সেজন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করাও দরকার। মুসুর ডাল বাটা বা বেসন দিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন।
  • আপনার ত্বক তৈলাক্ত মানে এই নয় যে, শীতের দিনেও ত্বক তেলতেলে থাকবে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে তৈলাক্ত ত্বকও রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এ জন্য মুখে ব্রণ বা কালো ভাব দেখা দিতে পারে। তাই শীতেও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন নিন। জেল বেসড সানস্ক্রিন নয়, ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ময়শ্চারাইজারও ওয়াটার বেসড হতে হবে।
  • শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়াটা আরও একটা বড় সমস্যা। ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে পারেন। গ্লসি লিপস্টিক লাগালেও ঠোঁট নরম থাকবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিপবামও ব্যবহার করা যায়।

শীতকালে প্রকট হয় ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইট হেডসের সমস্যা। তাই এ সময়ে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা প্রয়োজন। সময় থাকতে সচেতন হলে এড়ানো যায় ত্বকের শীতকালীন নানা সমস্যাও।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন