টপ পোষ্ট

‘জীবনের শেষ কথা’ লিখে ব্রহ্মচারী সাধুর আত্মহত্যা

0

ফরিদপুরের বন্ধু সেবক ব্রহ্মচারী নিজের ফেসবুকে ‘জীবনের শেষ লেখা শেষ কথা’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান কমিটির সহ-সেবায়েত ছিলেন। আজ সোমবার সকালে তার নিজ কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বন্ধু সেবক মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন। সেখানে শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞান বন্ধু ব্রহ্মচারীর সঙ্গে বিরোধের জেরে আত্মাহুতির কথা উল্লেখ আছে।

এদিকে সোমবার ভোরে বন্ধু সেবক নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘জীবনের শেষ লেখা শেষ কথা’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেন- ‘এভাবে পৃথিবী ছেড়ে যাবার কথা ছিল না। পরিস্থিতির কারণে যেতে হচ্ছে। কলঙ্ককে মৃত্যুর সমান মনে করি।

এর জন্য দায়ী শ্রীঅঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক বিজ্ঞান বন্ধু। তারই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। দুই নারীকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল চিত্তের মানুষ। অনুরোধ করব দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলুন। জেগে ওঠুন। বহুমুখী গণতন্ত্রের ভিত্তিতে সংগঠন গড়ে তুলুন। মহানাম সম্প্রদায়ে সাধুর অভাব নেই। আছে শুধুই মনের অভাব। সবাইকে ডেকে ঐক্য গড়ে তুলুন।’

বন্ধু সেবক আরও লিখেছেন, ‘আমার আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে শ্রীঅঙ্গনের ও সম্প্রদায়ের মধ্যকার আসুরিক শক্তির বিনাশ ঘটুক। শুভ শক্তির জাগরণ ঘটুক এই কামনা করি। প্রভুর নাম স্মরণ করতে করতে ফাঁসির দড়ি গ্রহণ করব এবং নাম করতে করতে চলে যাব। পাপ পূণ্য কোনটাই আমায় স্পর্শ করবে না আমার বিশ্বাস।’

শ্রীঅঙ্গন মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী জানান, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুই নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এটা নিয়ে বন্ধু সেবক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, সাধুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কী তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন