টপ পোষ্ট

ফের কঠোর আন্দোলনের হুমকি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

0

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকে কেন্দ্র করে ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকাল ৪ টার দিকে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহমুদ রহমান সায়েম ও অন্তরা তিথি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন,‘আমরা চাই না প্রশাসনে থাকা দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ পারস্পরিক দোষারোপ করে কাজের গতি স্থবির করে দিক।’

প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলেও তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা এখনও রয়ে গেছে মন্তব্য করে তারা বলেন,‘এরই মধ্যে সময় অনেক গড়িয়েছে। প্রশাসন তৎপর হলে এই সময়ের মধ্যেই আরও অনেক অগ্রগতি হতো। প্রয়োজনে আমরা সকল সাধারণ শিক্ষার্থী ভিসি স্যারের সাথে আবার আলোচনায় বসতে তৈরি আছি।’

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৭ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ট্রিপল-ই বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অক্টোবর থেকে আমরা প্রথমে ৮ দফা এবং পরবর্তী সময়ে সংশোধিত ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে থাকি।

এই দাবিগুলো মূলত আবরার হত্যার বিচার নিয়ে এবং যেসব ফ্যাক্টরের জন্য এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে সেসব ফ্যাক্টর অপসারণ করা নিয়ে। এ সময় তারা তাদের ১০ দফা দাবির আপডেট তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন,‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে’।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এপর্যন্ত ২১ জনকে আটক করে পুলিশ। এরমধ্যে ৯ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে তাদেরকে বহিষ্কার করেছে।

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন