মেয়েটির বয়স দুই কি তিন, ইচ্ছেমতো ছুটোছুটি করছিলো পার্কের সবুজ ঘাসে। পানির একটা পাইপের মুখ খোলা ছিলো, অবোধ শিশু কি আর বিপদ বোঝে? ছুটতে ছুটতে হঠাৎই পড়ে গেলো পাইপে, সাথে সাথে আতঙ্কে বুক হিম হয়ে গেলো আশপাশে থাকা সব মানুষের। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করলেন তারা।
পাইপের যে ব্যাস, তাতে বড়োদের পক্ষে মাথা ঢোকানোই সম্ভব না। একজন একটা গাছের ডাল নামিয়ে দিলেন, কিন্তু দুধের শিশু তো আর জানে না, ডাল ধরলে তাকে টেনে তোলা যাবে।
খবর দেয়া হলো ইমার্জেন্সি রেসকিউ টিমকে, কিন্তু তারা আসতে আসতে শিশুটি পানিতে তলিয়ে যাবে! সবাই যখন তুমুল দুশ্চিন্তায় অস্থির, ছুটে এলো ১২ বছরের ছেলেটি।
কিছুক্ষণ দেখলো পরিস্থিতি, তারপর মাথা গলিয়ে দিলো পাইপের ভেতর। বড়োরা কোমরের বেল্ট খুলে দুঃসাহসী বালকের পায়ের সাথে বেঁধে দিলো।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বীর বালক তুলে আনলো পুতুলের মতো ছোট্ট মেয়েটিকে। অনলাইনে এতো এতো প্রশংসা হলো উদ্ধারকারী শিশুর, রীতিমতো হিরো বনে গেছে সে সারাবিশ্বে। তবে অনলাইন বা গণমাধ্যম, কোথাও তার নাম পরিচয় দেয়া হয়নি এখনো।